বরগুনায় ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে এক দিন এক রাত শিকলে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে শিকলে আবদ্ধ অবস্থায় মাদ্রাসা থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করেছেন তার বাবা-মা। ইতিমধ্যে ঐ শিক্ষক পালিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
বরগুনার সদর উপজেলার পশ্চিম হেউলিবুনিয়া এলাকার রিকশাচালক ফরিদ ও তাসলিমা দম্পতির একমাত্র সন্তান আব্দুল আলিম। শিশু আলিম হেউলিবুনিয়া মৃধাবাড়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভাবে অসুস্থ সে। এ কারণে মাঝেমাঝেই মাদ্রাসা থেকে বাড়ি চলে আসে আলিম। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন ধরে বাড়িতেই অবস্থান করছিল আলিম। পরে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) বাড়ি থেকে জোরপূর্বক আমিলকে মাদ্রাসায় নিয়ে যায় মারুফ বিল্লাহ নামের এক শিক্ষক।
এরপর তাকে মাদ্রাসায় শিকলে বেঁধে রাখা হয়। পরে সুযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ফজরের নামাজের সময় তালা খুলে বাড়িতে চলে আসে আলিম। এরপর আলিমকে ফের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় শিক্ষক মারুফ বিল্লাহ। এরপর আবারও শিকলে বেঁধে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। শিশুটির কান দিয়ে রক্ত ঝরছে। ডানহাত নাড়াতে পারছে না। সর্বশরীর পিটিয়ে ও পায়ের তলায় পিষ্ট করে থেঁতলে দিয়েছে।
স্থানীয়দের কাছে এ খবর পেয়ে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মাদ্রাসা থেকে শিকল বন্দি অবস্থায় আলিমকে উদ্ধার করে তার বাবা-মা। এক রাত এক দিন নির্যাতনের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মারুফের শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
এ দিকে আলিমকে উদ্ধার করার পরপরই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক মারুফ বিল্লাহ। আলীকে অমানুষিক নির্যাতন কথা স্বীকার করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
Leave a reply