কৃষকদের হাতে লাঞ্ছিত হলেন বিজেপি নেতারা!

|

বিতর্কিত তিন কৃষি আইন নিয়ে এমনিতেই প্রায় এক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন ভারত, বিশেষত পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকেরা। সেই দ্রোহের আগুনের আঁচ এবার পড়লো স্থানীয় বিজেপি নেতাদের ওপর। গত শুক্রবার হিসার ও রোহটাক জেলায় দুই দফায় কৃষকদের দ্বারা আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা।

প্রথম ঘটনাটি হিসারে। রাজ্যসভার সাংসদ রাম চন্দর জাংরা গাড়ি নিয়ে নারানৌদ শহরে যাচ্ছিলেন স্থানীয় একটি মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে। সেখানে উত্তেজিত কৃষকেরা চড়াও হন তার গাড়ির ওপর। ভেঙে যায় সামনের কাচ। রাম চন্দর জাংরা কৃষকদের দায়ী করলেও কৃষকদের দাবি, প্রথম হামলাটা বিজেপির ‘গুণ্ডারাই’ করেছে! এদিকে পুলিশ এ ঘটনায় লাঠিচার্জ করেছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ করলেও পুলিশ সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি।

আরও গুরুতর ঘটনা ঘটেছে রোহটাকে। উত্তরপ্রদেশের কেদারনাথে শঙ্করাচার্যের ভাস্কর্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানের লাইভ দেখতে
স্থানীয় একটি মন্দিরে ঢুকেছিলেন কয়েকজন বিজেপি নেতা। বাগে পেয়ে সেখানেই তাদের জিম্মি করে রাখেন কৃষকেরা। মুক্তিপণ ছিল একটাই- চাইতে হবে মাফ!

উল্লেখ্য, বিজেপি নেতাদের মধ্যে সেখানে ছিলেন সংগঠন মন্ত্রী রবীন্দ্র রাজু, মেয়র মনমোহন গয়াল, বিজেপি জেলাপ্রধান অজয় বনসল, নেতা সতীশ নন্দাল এবং মনীষ গ্রোভার। এর মধ্যে সবশেষ ব্যক্তি মনীষ গ্রোভারের ওপরেই সচবচেয়ে বেশি ক্ষীপ্ত ছিলেন কৃষকেরা। কৃষক আন্দোলনের উত্তপ্ত সময়গুলোতে এই নেতা কৃষকদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বিভিন্ন মন্তব্য করেছিলেন।

আট ঘণ্টার জিম্মিদশা শেষে মুক্তি পান বিজেপির ঐ নেতারা। কৃষকেরা জানান, মনীষ গ্রোভার হাত জোড় করে মাফ চেয়েছেন বলেই এ যাত্রায় তাদের রেহাই দেওয়া হয়েছে। এদিকে বাড়ি ফিরে মনীষ গ্রোভার বলছেন উল্টো কথা। তার দাবি, মাফ চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি যখন খুশি মন্দিরে আসতে পারি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply