জার্মানির বার্লিনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের সামনে থেকে গত মাসে উদ্ধার করা হয় রুশ এক কূটনীতিকের মরদেহ। সে সময় বলা হয় দূতাবাসের একটি ভবন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই কর্মকর্তার। দুর্ঘটনা বলে ময়নাতদন্ত পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি সেই সময়।
এই ঘটনার দু’সপ্তাহের বেশি সময় পর নতুন করে শুরু হয়েছে তোলপাড়। জার্মানির ম্যাগাজিন দ্য স্পিগেল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, নিহত ওই কূটনীতিক রুশ গোয়েন্দা সংস্থার একজন গোপন এজেন্ট ছিলেন। রাজনৈতিক কারণে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলেও প্রশ্ন তোলে অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট বেলিংক্যাট।
বেলিংক্যাট ম্যাগাজিনের অনুসন্ধানী সাংবাদিক ক্রিস্টো গ্রোভেজ বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি এই কূটনীতিক ছিলেন সেকেন্ড সেক্রেটারি। তিনি ভিয়েনাসহ বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাবাও ছিলেন এফএসবির শীর্ষ কর্মকর্তা। রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির ওপর বিষ প্রয়োগে যার সম্পৃক্ততার কাথাও শোনা যায়। এখন পর্যন্ত এটিকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোফার বার্জার জানান, এই ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে দেখছে জার্মানি। তবে গোপনীয়তা রক্ষার ও তদন্তের স্বার্থে এখনই আমাদের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব হচ্ছে না। রাশিয়ার ওপরও নির্ভর করছে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়টি। তবে এটিকে দুর্ঘটনা বলা হলেও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
১৯ অক্টোবর জার্মানিতে রুশ দূতাবাসের সামনের সড়ক থেকে উদ্ধার করা হয় মরহেদটি। তবে এখন পর্যন্ত ওই কূটনীতিকের কোনো ছবি বা নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
Leave a reply