করোনা মহামারিতে সারাবিশ্বে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ আর ব্যয় সর্বোচ্চ। অথচ বাংলাদেশের চিত্র উল্টো। এখানে বরাদ্দ বেশি হলেও তলানিতে ব্যয়। স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটের কলেবর বেড়েছে, দেয়া হয়েছে থোক বরাদ্দ। কিন্তু ব্যয় সেই আগের মাত্রায়ই। এডিপি বাস্তবায়নে পিছিয়ে পুরো মন্ত্রণালয়।
আগের তুলনায় সংক্রমণ এখন বেশ খানিকটা কম হলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যখাতে নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। সে মোতাবেক স্বাস্থ্য বাজেট বড় হলেও সময় ও পরিকল্পনা মতো ব্যয় করা যাচ্ছে না অর্থ।
চলতি অর্থবছরের স্বাস্থ্য বাজেটের আকার প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ব্যয়ের জন্য রাখা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য ব্যয় বরাদ্দ ২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে বাকি অর্থ। কিন্তু অর্থবছরের তিন মাসে বাজেট বাস্তবায়নের চিত্র হতাশাজনক। স্বাস্থ্য সেবা এবং শিক্ষা বিভাগের গড় বাস্তবায়ন হার ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।
অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ খরচ করেছে ৩০৩ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের মাত্র ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ব্যয় করেছে ১৫৮ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।
টিকা, ডিসপোজেল সিরিঞ্জ, পরীক্ষার কিট, নানামুখী স্বাস্থ্য সরঞ্জামসহ জরুরি কেনাকাটার জন্য বাজেটে রাখা হয়েছে থোক বরাদ্দ। কিন্তু করোনায় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয় কমে যাওয়ায় অর্থায়নে বিদেশ নির্ভরতা বাড়ছে বলে মনে করছেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যখাত সর্বাধিক অগ্রাধিকার পেলেও মানসম্পন্ন ব্যয় নিশ্চিত না হওয়ায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
Leave a reply