ধর্মঘট প্রত্যাহারে এক পায়ে খাড়া মালিক-শ্রমিকপক্ষ; আশ্বাসেই চিড়ে ভিজবে আজ

|

দাবি মেনে নেয়ার পর ধর্মঘট থেকে ফিরে গেছে বাস মালিক শ্রমিকেরা। সহযোদ্ধাদের প্রস্থানে একা হয়ে গেছে জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী ট্রাকসহ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। মানা হয়নি তিনদফা দাবি। এমনকি ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে সেভাবে যোগাযোগও করা হয়নি। এমন অবস্থায় অনেকটা নিজের দায়েই তারা চাইছিলেন ধর্মঘট থেকে বেড়িয়ে কাজে ফেরার উপায়। যাতে সবুজ সংকেত এসেছে সরকারের তরফ থেকেও।

আজ সোমবার রাত আটটায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসবেন পণ্য পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিক নেতারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ নিশ্চিত করেছেন এই তথ্য। এদিকে দাবি আদায়ের ব্যাপারে উচ্চাশা না থাকলেও জ্বালানী তেলের ‘সন্তোষজনক’ মূল্যহ্রাসের আশ্বাস পেলে ও অন্য দাবিগুলো বিবেচনায় নেয়া হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে পারেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ওয়াজি উল্লাহ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার লিটারপ্রতি ডিজেলের মূল্য ১৫ টাকা বৃদ্ধির পর ঐদিন রাতেই ধর্মঘটের ডাক দেন পণ্য পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকেরা। পরে তাদের সঙ্গে বাস-মিনিবাসের মালিক-শ্রমিকেরাও যুক্ত হন। গতকাল রোববার বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তিনদফা দাবিতে পণ্য-পরিবহনের ধর্মঘট আজও বহাল আছে। তাদের দফাগুলো হচ্ছে—জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় পণ্যবাহী যান থেকে টোল আদায় বন্ধ।

পণ্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, ধর্মঘটেরপ্রথম তিন দিনেও সরকার পক্ষের সাথে মীমাংসায় আসার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সে অনুযায়ী সাড়া মেলেনি। জ্বালানী তেলের মূল্যহ্রাসের বিষয়টি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই। অন্যদিকে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সাথেও সেভাবে যোগাযোগ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মধ্যস্থতা কামনা করছিলেন এই খাতের মালিক-শ্রমিকপক্ষ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply