দেশে করোনার ট্যাবলেটের অনুমোদন, ব্যবহারবিধি ও দাম নির্ধারণ

|

প্রাথমিকভাবে বেক্সিমকো ও এসকেএফ, এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে বেক্সিমকো ও এসকেএফ, এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য জানান ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, গতকাল সোমবার (৮ নভেম্বর) বেক্সিমকোকে অনুমোদন দেয়া হয়৷ আর আজকে এসকেএফ নামের প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। মোট ৫ দিন ৮টি করে ক্যাপসুল খেতে হবে।

তিনি আরও জানান, এই ওষুধটির ফলাফল বিশ্বের কয়েকটি দেশের পাশাপাশি আমাদের দেশেও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এটি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। টিকা নিলেও এই ক্যাপসুল নেয়া যাবে বলে জানান তিনি। এই ওষুধটি ব্যবহারের ফলে মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনবে। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যেমন: হালকা মাথাব্যথা, জ্বর কিংবা গায়ে ব্যথা হতে পারে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদেরকে দেওয়া হবে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম এই ক্যাপসুল উৎপাদন করেছে। বিদেশে রফতানি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সর্দি-জ্বরের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা মলনুপিরাভি ট্যাবলেটটি করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে। এই বড়ি সেবনে হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ট্যাবলেট তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি কোম্পানি। সম্প্রতি এই ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকারও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply