পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত সবুজ হোসেন (৩৬) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
নিহত সবুজ চলনা গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থক ছিলেন। তবে সবুজকে নিজের সমর্থক হিসেবে দাবি করে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক সবুজকে তার সমর্থক হিসেবে দেখিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এর আগে, ভায়না ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমিন উদ্দিন আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের জেরে সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে আহত হন তিনি।
গুরুতর আহত অবস্থায় সবুজকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সবুজের মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে, আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুকের অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিনের সমর্থকরা সোমবার সন্ধ্যায় অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। সেইসাথে এলোপাথারি গুলিবর্ষণ ও বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করারও অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। সেখানে আমার লোকজন হামলা চালায়নি। যিনি মারা গেছেন তিনি একসময় আমারই সমর্থক ছিলেন। এখন তারা তাকে নিজেদের সমর্থক দাবি করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহত সবুজের ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
Leave a reply