সিলেট ব্যুরো: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় এক সাধারণ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ আল রনি। তিনি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলোজি বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী। আহত রনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। এসময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে একটি রেস্টুরেন্টে বসা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম। এসময় সবুজ- সাঈদ গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী তার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে তরিকুল গুলি ছুড়েন। তার ছুঁড়া গুলি রণির পায়ে লাগে। তবে গুলি ছুঁড়ার কথা অস্বীকার করেছেন তরিকুল। দায় চাপিয়েছেন সবুজ-সাঈদ গ্রুপের কর্মীদের উপর।
আহত উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা।
এবিষয়ে,শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ যমুনা নিউজকে জানান, তরিকুল ইসলাম তারেক গুলি ছুঁড়ার সময় অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছে। তার গুলিতেই রণি আহত হয়েছে। এখন তার অপকর্মের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনি ঘটনা শুনেছেন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তাদের কেউ গুলি ছুড়েছে। তবে কে গুলি ছুড়েছে তা এখনো নিশ্চিত নন তিনি। তিনি জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো:মোনাদির ইসলাম বলেন, ঘটনার পর আর যাতে অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা না ঘটে সে কারণে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এরপর থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
যমুনা অনলাইন:আরএম
Leave a reply