যেমন বুনো ওল, তেমনি বাঘা তেঁতুল। এই প্রবাদটি খুব ভালোভাবেই খাটে জাপানের এই ঘটনার সাথে। কর্তৃপক্ষের নিয়মানুবর্তিতা বনাম কর্মীর নিজের প্রতি নায্যতা প্রতিষ্ঠার জেদ!
ট্রেনচালকের অপরাধ ছিল মাত্র ‘১ মিনিট দেরি’। তাতেই জরিমানা ঠুকে দিলেন সংশ্লিষ্ট জাপান রেলওয়ে-পশ্চিম কর্তৃপক্ষ। এদিকে জরিমানার অঙ্কটাও ছিল মামুলি, সাকুল্যে ৪২ টাকা! এতেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রেগেমেগে মামলা ঠুকে দিলেন ট্রেনচালক। তাও যে সে মামলা নয়, ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন ২২ লাখ ইয়েন (১৭ লাখ টাকা)। কারণ জরিমানার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের ‘ক্ষতি’ হয়েছিল তার!
এবারে ফিরে যাওয়া যাক ঘটনার পটভূমিতে। দক্ষিণ জাপানের ওকায়ামা স্টেশনগামী একটি খালি ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যাবার কথা ছিল ঐ চালকের। সেই মতো আগের চালক ট্রেনটি নিয়ে পূর্বনির্ধারিত প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষাও করছিলেন। কিন্তু ঘটনার ‘নায়ক’ চালকটি ভুলবশত গিয়ে পৌঁছান অন্য প্ল্যাটফর্মে। ভুল টের পেয়েই পড়িমরি করে ছুটলেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন ছাড়তে হয়ে যায় দুই মিনিট দেরি। অবশেষে গন্তব্যে তিনি যখন পৌঁছান, তখন তিনি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১ মিনিট ‘লেট’!
ঐ চালকের ভাষ্য, এই জরিমানা অনর্থক। কেননা তার ভুলের মাশুল অন্য কোনো যাত্রীকে গুনতে হয়নি, কারোরই বিলম্ব হয়নি। কারণ, ট্রেনে আসলে কোনো যাত্রীই ছিল না! এদিকে জাপান রেলওয়েও অনড়। তাদের কাছে, দেরি মানে দেরিই।
Leave a reply