আগের সরকার শহিদ ঘোষণা করে হাজারা নেতার একটি ভাস্কর্য স্থাপন করেছিল। কিন্তু তালেবান সরকার তার ভাস্কর্য সরিয়ে সেখানে কুরআনের একটি রেপ্লিকা বসিয়েছে তালেবান।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) টিআরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানের এমন পদক্ষেপের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই ভাস্কর্যটি ছিল শিয়া মতাবলম্বী হাজারা সম্প্রদায়ের নেতা আব্দুল আলি মাজারির। তালেবান প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর তাকে হত্যা করেছিল।
তালেবানরা গত আগস্টে ক্ষমতায় আসার পরই গ্রেনেড দিয়ে ওই ভাস্কর্যটি গুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার জন্য রক্ষণশীল ইসলামিস্টদের দায়ী করছে বামিয়ানের বাসিন্দারা।
তারা জানায়, তালেবানের কাছে ইসলামের ব্যাখ্যা অনুযায়ী মানুষের কোনো চিত্র এবং ভাস্কর্য নিষিদ্ধ। অনেক ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফকেও নিষিদ্ধ মনে করে তারা। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের বিলবোর্ড ও পোস্টারে মানুষের ছবি সরিয়ে ফেলেছে বা ঢেকে দিয়েছে।
বামিয়ানের একটি নাগরিক সমাজের অধিকার কর্মী আব্দুল দানিশায়ার বলেন, গতকাল তারা ভাস্কর্যটি পুরোপুরি গুড়িয়ে দেয় এবং সেখানে কুরআনের একটি রেপ্লিকা প্রতিস্থাপন করে। তারা বামিয়ান থেকে ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে।
Leave a reply