৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতির কবলে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ভোক্তা জরিপ সংস্থা বলছে, এক বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতির হার ৫ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে জ্বালানি তেল এবং খাদ্যদ্রব্যের। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশটির সাধারণ মানুষ।
করোনার প্রকোপ সামলে উঠতে না উঠতেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। গেল এক বছরে ভোক্তা অধিকার জরিপ বলছে এক বছরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৫ শতাংশ। অক্টোবরে এই হার ছাড়িয়ে যায় ৬ শতাংশের ঘর। যা গেল ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সবজি এবং মাংসের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
বাড়ি-গাড়ি কিনতেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। গেল সাত বছরের মধ্যে পেট্রোলসহ বিভিন্ন জ্বালানির দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে যাতায়াত ভাড়াতেও। চাহিদার চেয়ে যোগান কম এবং করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি সামাল দিতেও বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। এছাড়া কর্মী সংকটে বেতন বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়িয়ে তা সমন্বয় করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে বাইডেন সরকার।
এটা সত্য যে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অনেক কিছুর মুল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আসবে। সম্প্রতি অবকাঠামো খাতে যে ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে তা আমাদের অনেকটাই সহায়তা করবে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, বছরের শেষ নাগাদ আরও বাড়বে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি।
Leave a reply