অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো গ্লাসগোয় জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্দা নামার কথা ছিল এ সম্মেলনের।
বিবিসি সুত্রে জানা গেছে, কিছু বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় ঘড়ির কাঁটা ছয়টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও আলোচনা চলছে। আলোচকরা এখনো চুক্তিতে থাকা কিছু শব্দ নিয়ে যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা মিলিয়ে যাচ্ছে।
তবে চলমান জলবায়ু সম্মেলনের একজন আলোচক বিবিসিকে বলেছেন, প্রতিনিধিরা গভীর রাত পর্যন্ত একটি চূড়ান্ত চুক্তি করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আমার বিশ্বাস। প্রয়োজনে এ আলোচনা আগামীকাল পর্যন্ত গড়াতেও পারে। কপ জলবায়ু সম্মেলন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর আগেও চূড়ান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
কপের প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা ইতিমধ্যে দুবার সংবাদ সম্মেলন বাতিল করেছেন। শুক্রবার বিকেলে জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে তার সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু আলোচকেরা এখনো যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাওয়ায় সংবাদ তার নির্ধারিত সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এটাই সেই মুহূর্ত।’ লন্ডনে গত শুক্রবার বিকেলে জনসন আরও বলেন, ‘আলোচকদের চুক্তির বক্তব্য অনুধাবন করতে হবে। আমাদের এতে সম্মত হওয়ার একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে, তা না হলে আমরা আমাদের গ্রহকে ধ্বংস করে দেয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাব।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, উন্নয়নশীল বিশ্বকে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে সাহায্য করার জন্য আমাদের টেবিলে নগদ অর্থ আরও বেশি করে ঢালতে হবে।
শুক্রবার রাতে কপ-২৬ প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা বলেন, রাতে কোনো চুক্তি হচ্ছে না, তবে আগামীকাল পর্যন্ত আলোচনা চালু থাকবে।
জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেয়া প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে দেয়া বার্তায় অলোক শর্মা আরও বলেন, আমরা সব পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। পর্যালোচনা করা চুক্তির নথিটি রাতে আবার বিতরণ করা হবে। একই সময়ে আলোচনা চলবে। মি. শর্মা আশা করছেন আজ শনিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সম্মেলন সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।
এর আগে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন বলেন, আমি গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনের ফলাফল সম্পর্কে একইসাথে সতর্ক ও আশাবাদি। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বড় ছাড় দেয়া হয়েছে। তবে কিছু দেশ এখনো তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকানোর জন্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতিপূরণের জন্য আরও বেশি চাপ দিচ্ছে।
Leave a reply