বন্ধ্যাকরণের ইনজেকশন দিতে গিয়ে বাছুরের লাথিতে নিজেই বন্ধ্যা হওয়ার ঝুঁকিতে চিকিৎসক!

|

শৌভিক দেবনাথের ইলাস্ট্রেশন। আনন্দবাজার পত্রিকা।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাছুরকে বন্ধ্যাকরণের ইনজেকশন দিতে গিয়েছিলেন এক পশু চিকিৎসক। বাছুরের লাথিতে সেই ইনজেকশন ঢুকে যায় ডাক্তারেরই গায়ে। এরপর থেকেই জ্বর, শরীর ব্যথার মতো উপসর্গে ভুগতে শুরু করেছেন ওই চিকিৎসক।

ওই পশুস্বাস্থ্যকর্মী বলেন, ইনজেকশন দেয়ার সময় স্বাভাবিকভাবেই বাছুরেরা ছটফট করে। তেমনই এক বাছুরের লাথির চোটে সেই সময় আমাদের শরীরেই সূচ ঢুকে গিয়েছে। মনে হচ্ছে বন্ধ্যাত্ব রোগে আক্রান্ত হয়েছি।

একই উপসর্গ নিয়ে কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে (এসটিএম) ভর্তি হয়েছেন আরও নয় জন পশু চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মী। তারা দাবি করছেন, বাছুরকে টিকা দিতে গিয়ে নিজেরাই ব্রুসেলোসিস রোগে আক্রান্ত। মূলত, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না দিয়ে টিকা দেওয়ার কাজে পাঠানোতেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাদের। তাছাড়া সরবরাহকৃত সুরক্ষাসামগ্রীও বেশ নিম্নমানের ছিল।

তবে এসটিএমের পরিচালক ডা. শুভাশিস কমল গুহ বলছেন, ব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখার উপসর্গ নিয়ে অনেকেই এসেছেন। অনেকে আবার আতঙ্কিত হয়েও এসেছেন। তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর গবাদি পশুকে বন্ধ্যাকরণের টিকা দেওয়া কর্মসূচি ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। ওই কর্মসূচিতেই এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বাংলা সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply