মেছো বিড়াল আর শেয়াল আতঙ্কে মৌলভীবাজারের মানুষ

|

ক্যামেরায় গবাদি পশুর ওপর মেছো বিড়ালের আক্রমণের দৃশ্য।

মেছো বিড়াল আর শেয়াল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও কমলগঞ্জের অন্তত পাঁচ গ্রামের মানুষ। এরইমধ্যে আক্রমণের শিকার হয়েছে শিশুসহ বেশ কয়েকজন। প্রায় দিনই শিকারে পরিণত হচ্ছে ছাগল, হাঁসসহ গবাদি পশু। আক্রমণ রোধে পাহারা বসিয়েছে এলাকাবাসী। বন বিভাগ প্রাণিগুলোকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।

কুলাউড়ার ব্রাক্ষণবাজার ইউনিয়নজুড়ে একই চিত্র। হামলার শিকার মানুষ কোনরকমে প্রাণে বাঁচলেও, ক্ষত এখনও শুকায়নি। প্রায় দিনই শিকারে পরিণত হচ্ছে হাস-মুরগী-ছাগলসহ গবাদি পশু। ক্যামেরায় ধরাও পড়ে মেছো বিড়ালের অস্তিত্ব।

কমলগঞ্জের হরিস্মরণ গ্রামের শিশু শেপিও বাড়ির পাশে খেলার সময় দিনে-দুপুরে হঠাৎ আক্রমণের শিকার হয়। শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য শেপি রক্ষা পেলেও এলাকার নারীসহ আরও কয়েকজনের সাথে ঘটেছে একই ঘটনা। গ্রামে-গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। উপদ্রব বেড়েছে শেয়ালেরও। সবারই দুশ্চিন্তা, এই বুঝি আক্রমণ হলো। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধের উপক্রম এসব এলাকার শিক্ষার্থীদের।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বনবিভাগের একটি দল। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানালেন, মেছো বিড়ালকে স্থানীয়ভাবে মেছো বাঘ ডাকা হয়। তবে, এটি আসলে মাছখেকো বিড়াল প্রজাতির। বাঘ বলে আতঙ্ক না ছড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মেছোবাঘ যেটাকে বলা হচ্ছে সেটা আসলে বাঘ না, এগুলো মাছখেকো বিড়াল প্রজাতির। এগুলোকে বাঘ বলে আতঙ্ক না ছড়ানোর অনুরোধ করছি। আর এখন যেহেতু শেয়ালের প্রজননের সময় তাই ওরা এখন এরকম আচরণ করতে পারে। আমরা প্রাণিগুলোকে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply