টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আজ রাত ৮টায়। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া কেউই এই ফরম্যাটে এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ শিরোপার দেখা পায়নি। অন্যদিকে, কোনো ফরম্যাটেই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের স্বাদ পায়নি কিউইরা। আজকের ফাইনালে নায়ক হয়ে উঠতে পারেন যে কেউই। তবে দুই দল থেকে একজন করে বেছে নেয়া হলো এ যাত্রা।
ডেভিড ওয়ার্নারঃ দুই দলের খেলোয়াড়দের নামের তালিকায় একবার চোখ বুলিয়ে সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে জায়গা পেতে পারেন, এমন নাম খুঁজলে হয়তো ডেভিড ওয়ার্নারের উপর এসেই থেমে পড়তে বাধ্য হবেন অনেকে। কোচ হিসেবে জাস্টিন ল্যাঙ্গার এবং অজি স্কোয়াডের অনেকের মতোই, এ বছরটি বেশ সাদাসিধেই গেছে ডেভিড ওয়ার্নারের। ভারতের বিরুদ্দেহ হেরে যাওয়া সিরিজ দিয়েই ইনজুরি থেকে ক্রিকেটে এফ্রেন ওয়ায়ররনার। তারপর ফর্মের খোঁজে ছিলেন বহুদিন। আইপিএলে দলের স্কোয়াডেই এক্সময় জায়গা হচ্ছিল না এই মারকুটে ওপেনারের, আর সর্বকালের একাদশ তো পড়ে রইলো অনেক দূরে! তবে বিশ্বকাপে এসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে সেভাবে না থাকলেও, ইম্প্যাক্ট রানের হিসেবে সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে জায়গা পাওয়ার আরেক দাবিদার জস বাটলারের ঠিক পরেই থাকবেন ওয়ার্নার। ২৩৬ রান যে ওয়ার্নার করেছেন ১৪৮.৪২ স্টারিক রেটে! আজ শিরোপা হাতে উঠলে জায়গাটা হয়তো পাকাপাকিই করে ফেলবেন এই বাঁহাতি।
টিম সাউদিঃ প্রতি ম্যাচে অন্তত একটি করে উইকেট তো নিয়েছেনই টিম সাউদি, তার উপর ৫.৭৫ ইকোনমি রেটের দিকে তাকালেই টের পাওয়া যাবে এই সিম বোলারের বিশেষত্ব। এই আসরে ২৪ ওভারই সাউদি করেছে পাওয়ার প্লেতে। আর ডেথ ওভারে করেছেন ৫ ওভার। গত বিশ্বকাপে অবশ্য নিজ দলের সেরা একাদশেই জায়গা হয়নি এবারের আসরে কিউইদের মূল স্ট্রাইক বোলারের। এই আসর এখন শেষ পর্বে প্রবেশ করেছে। টিম সাউদির উপরই থাকছে কেন উইলিয়ামসনের দলের বোলিংয়ের প্রধান দায়িত্ব। দেখা যাক, ওয়ার্নার-ফিঞ্চদের কীভাবে বেঁধে রাখেন সাউদি।
Leave a reply