কাছের মানুষটিকে চাঁদ উপহার দেয়ার কথা তো অনেকেই বলেন। তবে নতুন বউয়ের জন্য প্রায় তেমনই করে দেখিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার এক যুবক। যদিও আস্ত চাঁদ নয়, স্ত্রীর জন্মদিনে তাকে চাঁদের ১ একর জমি উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে এ চাঁদ বৃহস্পতির! খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
দেড় বছর আগে রোমিলা সেন ও শুভজিৎ ঘোষের বিয়ে হয়। পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার শুভজিৎ পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনে কর্মরত। সিমলাপালের প্রত্যন্ত গ্রাম কাহারানের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বসবাস নাগাল্যাণ্ডের লংলেং জেলায়। তবে পেশার খাতিরে শুভজিতের সঙ্গে থাকেন না রোমিলা। হায়দরাবাদের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী রোমিলা করোনাকালে বাঁকুড়া শহরের কেন্দুইয়াডিহি গ্রামের বাড়ি থেকে কাজকর্ম সামলান।
রোমিলার জন্মদিন ছিল ১৩ নভেম্বর। তবে কাজের চাপে দিনটি একসাথে কাটাতে পারেননি দম্পতি। স্ত্রীর থেকে দূরে থাকলেও ১৩ তারিখে রাত ১২টাতেই স্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান শুভজিৎ। সাথে এক বিস্ময়কর উপহার।
শুভজিতের কাছ থেকে জন্মদিনের উপহার পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত রোমিলা। তিনি বলেন, ১৩ নভেম্বর ঠিক রাত ১২টায় আমাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানায় শুভজিৎ। তার পর বলে, ‘তোমাকে হোয়াটসঅ্যাপে একটা উপহার পাঠিয়েছি। দেখে বলো তো কেমন হয়েছে?’ হোয়াটসঅ্যাপ খুলে দেখি বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদে আমার নামে জমি কেনার শংসাপত্র। প্রথমে একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
এ নিয়ে শুভজিৎ জানান, এই কাজের জন্য আমেরিকার লুনার অ্যামবাসির সাথে যোগাযোগ করি। ওই সংস্থার কাছ থেকে ডলারের বিনিময়ে রোমিলার নামে বৃহস্পতির চাঁদে ১ একর জমিও কিনে ফেলি। আপাতত আমাকে এ নিয়ে একটি শংসাপত্র পাঠিয়েছে সংস্থাটি। ৯০ দিন পর আসল চুক্তিপত্রও এসে যাবে।
হাতে চাঁদের জমি পেয়ে রোমিলা বলেন, ‘পৃথিবীর চাঁদে পা রাখলেও বিজ্ঞান এখনও আমাদের বৃহস্পতির চাঁদে পৌঁছে দিতে পারেনি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তাও সম্ভব হবে। আমি হয়তো সে জমিতে পা রাখতে পারব না। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বলে যাব যাতে আমার সেই জমিতে যেন এক বার যায়।
Leave a reply