একের পর এক খবরের শিরোনাম হচ্ছে বুনো হাতির তাণ্ডব। খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে বনের হাতিরা। এসব ঘটনায় হাতির দায়ের চেয়ে মানুষের দায়ই বেশি দেখছেন বিশেষজ্ঞ, ক্রমাগত বন ধ্বংস ও অপরিকল্পিত বনায়নে হাতিদের জন্য সৃষ্টি হচ্ছে খাদ্য সংকট। সেজন্যই কিনা এবার দায়মোচনের মানবিক একটি উদ্যোগ নেয়া হলো আসামে।
আসামের নাগাঁও ও কারবি আংলং জেলার মধ্যবর্তী গ্রাম হাতিখুলি রঙহাগে ৩৩ একর জমির ওপর উদ্বোধন হলো হাতিদের জন্য বিশেষ এক রেস্তোরাঁ। হাতিদের প্রিয় সব খাবার সরবরাহ করা হবে সেখানে। কৃষি অধিদফতর আর আসামের বনবিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পে জমি দিয়েছিলেন স্থানীয় ১২ গ্রামের মানুষ। ‘হাতি-বন্ধু’ নামের সেই রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে পারবে রোজ গড়ে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ হাতি। তিন বছরের প্রস্তুতির পর গণেশ পূজার মধ্য দিয়ে ধুমধাম করে পর্দা উঠলো এটির।
হাতির খাদ্য-উপযোগী পর্যাপ্ত নেপিয়ার ঘাস, আপেল, কাঁঠালসহ প্রায় ২৫ হাজার কলাগাছ আছে এখানে। হাতি নিয়ে লোকালয়ে চলা বৈরী হাওয়াকে কিছুটা হলেও প্রশমন করবে এই ‘হাতি-বন্ধু’ রেস্তোরাঁ, এমনটাই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
Leave a reply