তীব্র যানজটে আটকা পড়ে অনেক সময়ই মনে হয় যদি আকাশে উড়ে গন্তব্যে যাওয়া যেতো! এবার ভ্রমণের সময় বাঁচাতে এই কল্পনাকেই বাস্তব রূপ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ২০২৫ সালের মধ্যে সিউলে এয়ার ট্যাক্সি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। এরইমধ্যে পরীক্ষামূলক প্রকল্পের কাজ শুরুও হয়ে গেছে।
গত বছরই দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, ২০২৫ সালের মধ্যে আকাশপথে বাণিজ্যিক ট্যাক্সি সার্ভিস চালুর। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি রোডম্যাপও তৈরি করে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী পরীক্ষামূলকভাবে আরবান এয়ার মবিলিটি, ইউএএম প্রকল্প চালু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভোলোকপ্টার তৈরি করেছে এই ছোট্ট আকাশযান। আপাতত ডিজাইন করা হয়েছে দুই সিটের মডেলের। সিউলের গিমবো বিমানবন্দরে চালানো হয় এর পরীক্ষা। বিমান ওড়ানো সবসময়ই দারুণ এক অনুভূতি। তবে হেলিকপ্টার বা এয়ারক্রাফটের তুলনায় এটা আলাদা। একদম নতুন কিছু।
রাজধানী সিউল থেকে আশপাশের শহরতলী এলাকা ও বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে সার্ভিস দেবে এই ট্যাক্সি। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, এয়ার ট্যাক্সির মাধ্যমে ভ্রমণে দুই তৃতীয়াংশ সময় বাঁচবে। গাড়িতে এক ঘণ্টার পথ লাগবে ২০ মিনিট। প্রতি কিলোমিটারের জন্য খরচ হতে পারে ২ ডলারের কাছাকাছি।
প্রকল্পটির পরিচালক জ্যাং ইয়াং গি বলছেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলবে প্রকল্প। ২০২৫ এর মধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকায় একটি রুট নির্ধারণ করে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। প্রকল্পের পেছনে ৫৯১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১ দশমিক ৪৩ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এই ট্যাক্সি জিডিপিতে ৫ হাজার ৮৪ কোটি ডলার অবদান রাখতে পারে।
মজার বিষয় হলো চালক ছাড়াও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে পারে এই এয়ার ট্যাক্সি। তাই ড্রোন ট্যাক্সিও বলা হচ্ছে একে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে প্যাসেঞ্জার থাকলে পাইলটই পরিচালনা করবেন ফ্লাইট।
Leave a reply