মুম্বাই, টালিগঞ্জসহ সিনেমায় প্লেব্যাকের দুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়ানোর পর আসানসোল থেকে নির্বাচিত হয়ে লোকসভাতেও প্রভাবের ছড়ি ঘুরিয়েছেন বিজেপির সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য বাবুল সুপ্রিয়। রীতিমতো নাকেখত দিয়েই সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন এই নেতা, পদত্যাগ করেছেন লোকসভা থেকেও।
কিন্তু চমক হয়তো থামছে না এখানেই। যে বাবুল সুপ্রিয় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো ও যুব মোর্চার প্রধান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর সমালোচক, গুঞ্জন বলছে, সেই অভিষেকেরই ‘সুনজরে’ কলকাতার মেয়র হবার দৌড়ে এগিয়ে সেই বাবুল সুপ্রিয়!
অলিখিত, তবু কার্যত ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতিতে চলছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই নীতির ফলাফলেই কিনা কলকাতার মেয়র পদের প্রায় সমার্থক হয়ে যাওয়া ফিরহাদ হাকিম পুনরায় এই পদের দাবি থেকে পিছিয়ে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদন বলছে, একই যুক্তিতে দৌড়ে পিছিয়ে গেছেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও।
এই যখন অবস্থা, তখন নয়ামুখকে একটি সুযোগ দিতেই পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে দলে যোগ দেবার পর প্রতাপশালী রাজনীতিক বাবুল এখনও কোনো পদ পাননি। পাননি উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়ারও সুযোগ। ফলে দুয়ে দুয়ে চার মেলাচ্ছেন অনেকেই। এর সাথে যোগ হয়েছে দলটির ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবুল-প্রীতি।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই বাবুলের নাম ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য, কলকাতা এবং হাওড়ায় নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ১৯ ডিসেম্বর।
তবে বাবুলকে মনোনয়ন দেয়া হবে কিনা- এই নিয়ে দ্বিধাবিভক্তিও কম নেই তৃণমূলে। একটি পক্ষ বলছেন, সবেমাত্র যিনি এসেছেন অন্য একটা দল থেকে, তাকে এখনই এত বড় পদ দেয়া অন্যায্য। তাছাড়া তাদের যুক্তি, কয়েক মাস আগেই বাবুল টালিগঞ্জ থেকে বিধানসভা ভোটে হেরেছেন, তাই তাকে মূল্যায়নও একটু ‘রয়েসয়েই’ করতে হবে!
অন্য পক্ষের দাবি, জোড়াফুল প্রতীক আর মমতার নামের ওজনেই পার পেয়ে যাবেন বাবুল। তবে এসব গুঞ্জন নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও মুখ খোলেননি বাবুল সুপ্রিয়।
Leave a reply