পানির দামে মিলছে কোটি টাকার বিএমডব্লিউ-মার্সিডিজ বেঞ্জ!

|

বিএমডব্লিউ গাড়ি মাত্র দেড় লাখ, আর মার্সিডিজ বেঞ্জ ৩ লাখ টাকা! চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গাড়ির নিলামে জমা পড়েছে এই দর! সর্বোচ্চ ৫৩ লাখ টাকা দর উঠেছে একটি বিএমডব্লিউ’র। ১১০টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশ করেছে কাস্টমস। পুরনো এবং জরাজীর্ণ এসব গাড়ি ৫ম বারের মতো নিলামে তোলা হয়েছিলো।

২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সংরক্ষিত মূল্যের একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির নিলামে ৫৩ লাখ দর হেঁকেছে ফারজানা ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, ২১ বছরের পুরনো, মরচে ধরা আরেকটি বিএমডব্লিউ’র দর পড়েছে দেড় লাখ টাকা। মিতসুবিশি সোগান ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির দর উঠেছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। যেটির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কোটি টাকা মূল্যর মার্সিডিজ বেঞ্জের দর জমা পড়েছে মাত্র ৩ লাখ ১০ টাকা।

গত ৩ ও ৪ নভেম্বর ১১২টি গাড়ি নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এর মধ্যে ১১০টি গাড়ির দর জমা দেন ৫৫১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তবে তারা গাড়ি পাবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আল আমিন জানান, যেসব গাড়ির দাম যৌক্তিক মনে হবে শুধু ওইসব গাড়িই বিক্রি করা হবে। যদি কোটি টাকার গাড়ি কেউ দুই লাখ টাকা দাম হাঁকায় এবং কমিটিও এই দামকে যৌক্তিক মনে করে তবেই গাড়িটি বিক্রি হবে।

বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসব গাড়ি ১৫ থেকে ২১ বছরের পুরনো। বন্দরে এক যুগ ধরে পড়ে থাকায় চাকা, ব্যাটারিসহ নানা যন্ত্রাংশ নষ্ট, নেই চাবি। খালাসের সময় দিতে হবে ১৭ শতাংশ কর।

মো. আল আমিন জানান, ৫৩ লাখ টাকা মূল্যের গাড়িটির সাথে আরও ১৭ শতাংশ কর যুক্ত হবে। পাশাপাশি গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট, চাবি নেই এসব মিলিয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকা পড়বে। এই অতিরিক্ত অর্থ খরচের কথাও বিবেচনায় রাখা হবে।

তিনি আরও জানান, গাড়ি বিক্রি করতে ক্লিয়ারেন্স পারমিট প্রয়োজন। যা প্রদান করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতিবাচক সাড়া দেয় তবে এ যাত্রায় বেশ কিছু গাড়ি বিক্রি করা সম্ভব হবে।

কারনেট তথা পর্যটন সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসব গাড়ি এনেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকরা। অপব্যবহার করায় পরে এগুলো জব্দ করে শুল্ক বিভাগ। এর আগে চারবার নিলামে তুলেও নানা জটিলতায় বিক্রি করা যায়নি এসব গাড়ি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply