টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া এবং সংগঠনটির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১০/১২ আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর এ হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামান।
তিনি বলেন, পৌনে ১২টার দিকে মওলানা ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী দলীয় স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। কয়েক দফায় লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেলসহ আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর আমাদের নেতাদের পুলিশের গাড়িতে করে বের করে নেয়ার সময় ফের হামলা চালানো হয়।
ড. রেজা কিবরিয়ার প্রেস সেক্রেটারি সাহাবুদ্দিন শুভ যমুনা নিউজকে জানান, আমরা ভাসানীর মাজারে ফুল নিয়ে ঢুকতে যাবো সেসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠি, বাঁশ ও রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় আমাদের প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা কোনো রকম একটা সিএনজি নিয়ে রেজা কিবরিয়াকে সাথে নিয়ে টাঙ্গাইল থানায় অবস্থান করছি। ভিপি নুরেরা পুলিশের একটি ভ্যানে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবির পাল বলেন, ওরা প্রথমে ছাত্রদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে ভাসানীর মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে সংগঠিত মাজার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তারা কিবরিয়াও নুর বিরোধী নানা স্লোগান দেন।
হামলার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরোয়ার হোসেন বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারে কাছাকাছি পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ড. কিবরিয়া ও নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বেল দাবি করেন তিনি।
ইউএইচ/
Leave a reply