কর্মীদের বাড়তি কাজের চাপ থেকে মুক্তি দিতে চায় ভারতীয় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি টাটা। তাই বেশিরভাগ কর্মীকেই বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে এই সংস্থা। পাশাপাশি দৈনিক কর্মঘণ্টা আট থেকে কমিয়ে ছয় ঘণ্টা করার পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। খবর এনডিটিভির।
মূলত, অতিরিক্ত সময় অফিসে থাকার ফলে কর্মীদের মানসিক অবসাদ, স্বাস্থ্যহানি, কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার মতো অনেক সমস্যা ঘটতে পারে বলে নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সে দিকে লক্ষ্যে টাটা কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (টিসিএস) এর মুখপাত্র বলেন, এখন আমাদের ৫ শতাংশ সহকর্মী অফিসে বসে কাজ করছেন। চলতি বছরের শেষে আরও বেশি সংখ্যক কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করার বিষয়ে উৎসাহিত করা হবে। তারপর আমরা ২৫/২৫ মডেল কার্যকর করব।
মোটা দাগে বলতে গেলে, রতন টাটার এই কোম্পানি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কাজের সময়সীমা দিনের ২৫ শতাংশের বেশি যাতে না হয়, সে উদ্দেশ্যে কাজ করছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র এক চতুর্থাংশ, অর্থাৎ দিনে ছয় ঘণ্টা সময় অফিসের জন্য দিতে হবে কর্মীদের। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই কর্মঘণ্টার ধারণাকে বলা হয়, ২৫/২৫ মডেল।
মহামারির কারণে টিসিএস কর্তৃপক্ষ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী পাঁচ বছর মাত্র ২৫ শতাংশ কর্মীকে দিয়ে অফিসে এসে কাজ করানো হবে। বাকি ৭৫ শতাংশ কাজ করবেন বাড়ি থেকেই। ২০২৫ সাল পর্যন্ত ২৫ শতাংশ কর্মী দিয়েই অফিস চালানো হবে। কারণ, উৎপাদনশীলতা ১০০ শতাংশ সচল রাখতে এর বেশি সংখ্যক কর্মীকে অফিসে আনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না এই সংস্থা।
Leave a reply