স্থানীয় প্রতিনিধি, কুমিল্লা:
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, কুমিল্লার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা, ১৪ দলের জেলা সমন্বয়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খান। বিদায়লগ্নে তার জানাজায় অংশ নেয় দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
এর আগে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। বুধবার দুপুরে নগরীর টাউনহল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জানাজা। এসময় বক্তব্য রাখেন এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
দলের দুর্দিনে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের অবদানের কথা উল্লেখ করে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নে তিনি অনেক লড়াই সংগ্রাম করেছেন। শোকের ছায়া বইছে দলীয় অঙ্গনেও। এমন নেতার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে চান দলীয় নেতাকর্মীরা। আর জানাজায় অংশ নিয়ে সমবেদনা জানান সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুও।
সকালে কুমিল্লা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। বিকালে নগরীর ঠাকুরপাড়ায় তৃতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় প্রবীন এ রাজনীতিবিদকে।
উল্লেখ্য, প্রবীন রাজনীতিবিদ আফজল খান গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, ৩ ছেলে ও নাতি-নাতনী, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী রেখে গেছেন।
অ্যাডভোকেট অধ্যক্ষ আফজল খান কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, কুমিল্লা পৌরসভার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক, সমবায় ইউনিয়নের সাবেক সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
আফজল খান কুমিল্লায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ল-কলেজ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা কারিগরি স্কুল এণ্ড কলেজ, মডার্ন স্কুলসহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
Leave a reply