নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। তবে এর মধ্যেই সামনে এসেছে এক নতুন তথ্য। জানা গেছে এ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সবাই লন্ডনপ্রবাসী! ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট সাতজন প্রার্থী। এদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে একজনের, তাই চেয়ারম্যান হওয়ার লড়াইয়ে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ছয় প্রার্থী, যারা সবাই লন্ডনপ্রবাসী।
জানা গেছে, এ ছয়প্রার্থীর মধ্যে যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসা বর্তমানে লন্ডনেই অবস্থান করছেন। মনোনয়নপত্র দাখিল করেই তিনি ব্যক্তিগত কাজে লন্ডন চলে যান তিনি।
এ ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন যথাক্রমে, আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ মুসা, তারই স্ত্রীর বড় ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মুকিত, আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী লন্ডনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু তালিম নিজাম চৌধুরী, লন্ডনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা মো. শামসুল হুদা চৌধুরী বাচ্চু, লন্ডনের আরেক কমিউনিটি নেতা মো. আব্দুল গফুর, এবং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমানে প্রবাসী সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ।
জানা গেছে, এই ইউনিয়নের ছয় চেয়ারম্যান প্রার্থীই লন্ডনপ্রবাসী। এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী আলী আহমদ মুসা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। সর্বস্তরে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
উল্লেখ্য, মুসা এ পর্যন্ত তিন বার এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা না থাকলেও শেষ পর্যন্ত নৌকার মনোনয়ন পান তিনি। ফলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হন আরেক পদপ্রার্থী আব্দুল মুকিত। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে অসন্তোষ। অনেকেই বলছেন, আওয়ামী লীগেরই দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। জানা গেছে, তাদের কোন্দলের কারণে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খালেদুর রহমান খালেদ।
Leave a reply