বিশ্বে গত কয়েক বছরে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ধূমপানের কারণে বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে তামাকজাত পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর এএফপির।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে যে, তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণেই প্রতি বছর সমগ্র বিশ্বে ৮০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালেও ধূমপান করে বিশ্বজুড়ে এমন মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩০ কোটি, যা ২০১৯ এ ছিল ১৩২ কোটি। এক বছরের ব্যবধানে বিশ্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা দুই কোটি কমেছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা ১২৭ কোটিতে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ প্রতিবেদনে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের এ হিসেবে ধরা হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে বিশ্বের ৩৬.৭% পুরুষ ও ৭.৮% নারী তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেছেন। তবে সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, বিশ্বব্যাপী ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী অন্তত তিন কোটি ৮০ লাখ কিশোর-কিশোরী ধূমপানে আসক্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধূমপানের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, এদের বেশিরভাগই সরাসরি তামাক ব্যবহার করেন। তবে এর মধ্যে এমন অন্তত ১২ লাখ মানুষ আছেন যারা সরাসরি ধূমপান না করেও শুধুমাত্র ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, প্রতি বছর ধূমপায়ীদের সংখ্যা কমে আসাটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। আমাদের আরও বহুদূর যেতে হবে। তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশলে এসব প্রাণঘাতী পণ্য বিক্রি করে প্রতি বছর মিলিয়ন ডলারের মুনাফা করছে। জনস্বাস্থ্যের প্রতি তাদের এমন ব্যঙ্গাত্মক আচরণ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার এখন উপযুক্ত সময়।
Leave a reply