সংযুক্ত আরব আমিরাত-সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোর কাছে এফ থার্টিফাইভ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে, উপসাগরীয় অঞ্চলে মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের। যেসব দেশের সাথে এরইমধ্যে চুক্তি হয়েছে, তাদেরকেই সবার আগে এফ থার্টিফাইভ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হবে।
প্রকল্প শুরুর পর থেকেই আলোচনায় মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ থার্টিফাইভ। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই স্টল্থ ফাইটার জেট যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ব্যবহার করছে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং ইসরায়েল।
এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এফ থার্টিফাইভ কিনতে চুক্তি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আলোচনা চলছে সৌদি আরবের সাথেও। তবে ইয়েমেনে হামলা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি সৌদি জোটকে অস্ত্র সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়। ফলে ইউএই’র কাছে এফ থার্টিফাইভ সরবরাহ করা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। তবে এবার যুদ্ধবিমান ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দফতর বলছে, যেকোনো মূল্যে মিত্রদের এফ থার্টিফাইভ সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেসনিক বলেন, পূর্ববর্তী প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল সেটি যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়িত হবেই। মিত্রদের কাছে এফ থার্টিফাইভ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে বদ্ধপরিকর আমরা। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এই চুক্তির বাস্তবায়ন করবো।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে হওয়া প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের মতো বিভিন্ন হুমকিকে ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে এফ থার্টিফাইভ বিক্রি করতে তুরস্কের সাথে চুক্তি করা হলেও তা সরবরাহ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ইউএইচ/
Leave a reply