ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছেন বাবা ও মেয়ে। তবে এর পেছনে কাজ করেছে আইপ্যাডের মাত্র একটি সিগন্যাল। কারণ আইপ্যাডের সাহায্যে বাবা ও মেয়েকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারী দল।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে জানা যায়, মেয়ের কাছে যে আইপ্যাড ছিল সেখান থেকে সিগন্যাল পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই স্থানে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। রোববার (১৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়াতে এমনই এক রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। বাবার বয়স ৫৮ বছর, পেশায় তিনি একজন পাইলট। অন্য দিকে মেয়ের বয়স ১৩ বছর। একটি দুই-সিটার প্লেনেই ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু প্লেন ছাড়ার একটু পরেই তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তারপরই মাঠে নামে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের কর্মীরা। পাঁচ ঘণ্টা লাগাতার চিরুনি তল্লাশি চলে। বিমানের সর্বশেষ পরিচিত অবস্থানের স্থানাঙ্কের সাথে, উদ্ধারকারী দল এবং প্রায় ৩০ জন ভলান্টিয়ার সেই অঞ্চলের মধ্যে অনুসন্ধান চালায়। যদিও সেই অনুসন্ধান ছোট করেই চালানো হয়েছিল বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
তারপরই উদ্ধারকারী দল পাইলটকে সনাক্ত করে এবং তড়িঘড়ি তার স্ত্রীকে ফোন করতেই পাইলটের নম্বরও পেয়ে যায় তারা। ফোন নম্বর পাওয়ার পরক্ষণেই উদ্ধারকারী দল সেল ফোনটি পিক করে এবং দেখতে পায় যে পাইলটের মেয়েটির কাছে একটি আইপ্যাড রয়েছে। এরপর আইপ্যাড’র সিগন্যাল অনুযায়ী কোন জায়গায় প্লেন ক্র্যাশ করেছে তার খোঁজ পায় উদ্ধারকারী দল।
লোকেশন ট্র্যাক করার পরই উদ্ধারকারী দল পৌঁছে যায় সেই জায়গায়। উইলকিস-বেয়ার স্ক্র্যানটন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৭ মাইল দক্ষিণপূর্বে ক্র্যাশ করা সেই প্লেনের সন্ধান মেলে। উদ্ধারকারী দল গিয়ে দেখতে পায় যে, এমনই এক জায়গায় পড়ে রয়েছেন বাবা ও মেয়ে।
Leave a reply