কখনও লাল, কখনও নীল। কখনও আবার খয়েরি, কালো বা দুধের মতো সাদা। একেক সময় একেক রঙ ধারণ করে নদের পানি। রূপকথার কোনো প্রবাহ নয়, এমনই এক নদ রয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশালে। নাম বানার নদ। একসময় যে জলধারার পানি দিয়ে হতো কৃষিসহ নানা কাজ, সেই পানি এখন এলাকাবাসীর কাছে রীতিমত আতঙ্ক।
রক্তাক্ত বর্ণ ধারণ করা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বানার নদীর পানি, মিশে যাচ্ছে খিরু নদীতে। রং পরিবর্তনের সাথে পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষি কাজ। মৃত্যু হচ্ছে গবাদি পশুর। কেন পানির এই অবস্থা তা খুঁজে বের করতে নদীপথ ধরে চলে অনুসন্ধান। নদীর পাশের চৌহার খাল হয়ে যমুনা নিউজের অনুসন্ধানী দল পৌঁছায় একটি কালভার্টের তলায়।
ওই সুরঙ্গ তাদের পৌঁছে দেয় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের আমিরাবাড়ি গুজিয়াম এলাকার ড্রেসডেন টেক্সটাইলস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ফটকে। প্রশ্নের মুখে একসময় কোম্পানিটির এজিএম নুরে আলম খোকন স্বীকার করেন, তাদের ইটিপি প্লান্ট স্থাপন হয়নি এখনও। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদফতরে গিয়ে জানা যায়, নদীতে সরাসরি দূষিত পানি ফেলায় কারখানা বন্ধের নোটিশ দেয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটিকে। তবে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ফরিদ আহমদ জানালেন, ওই প্রতিষ্ঠান যে বন্ধ হয়নি, তা তিনি জানতেন না।
কেন তদারকি করা হয়নি এই প্রশ্নই স্থানীয়দের। তারা বলছেন, স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায়, কীসের জোরে চলছে এই ধ্বংসযজ্ঞ?
Leave a reply