ইনিংসের একমাত্র আগ্রাসী ব্যাটিং দেখা গেছে যার ব্যাটে, সেই আফিফের বিদায়ে টাইগারদের বড় সংগ্রহের আশা ফিকে হয়ে গেল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টপ ও মিডল অর্ডার ভেঙে যাওয়ার পর আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভরসা খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শাদাব খানের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন এ পর্যন্ত ম্যাচটিতে টাইগারদের একমাত্র সাহসী ব্যাটার।
মোহাম্মদ নেওয়াজের পরপর দুই বলে আফিফের দারুণ দুটি ওভার বাউন্ডারিতে প্রথমবারের মতো আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী উপহার দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু শাদাব খানের অফস্ট্যাম্পের বাইরে টসড আপ গুগলিতে বিভ্রান্ত হন ডাউন দ্য উইকেটে আসা আফিফ। নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসনের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকলে হয়তো ইনিংসের এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটতো না আফিফের।
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই হাসান আলির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১ রান করে আউট হন মোহাম্মদ নাঈম। তারপর সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ ইনিংসে বড় আঘাত হানেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। দলে আসা নতুন দুই ব্যাটারও পারলেন না সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে। পূর্বসূরী টপ অর্ডার ব্যাটারদের মতোই পাওয়ার প্লের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তারা। উল্টো সাজঘরে ফিরে দলকে ফেলে দিয়েছেন ব্যাকফুটে। সুবিধা করতে পারছে না মিডল অর্ডারও। মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে মাহমুদউল্লাহ বোল্ড হয়েছেন মাত্র ৬ রান করে। কেবলমাত্র আফিফের ব্যাটেই জমা পড়েছে দলের সামান্য সংগ্রহ।
নুরুল হাসান সোহান ১৫ এবং মেহেদী হাসান ব্যাট করছেন ৭ রানে। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান।
Leave a reply