পাকিস্তানের উপর হামলে পড়েছে বাংলাদেশ। বোলিং-ফিল্ডিংয়ের নিয়ন্ত্রণে পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের চেয়েও বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে পাকিস্তান। তবে এই ব্যাটারদের মধ্যে দুটি নাম যখন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান, তখন বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। পুরো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচেই পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারানো পাকিস্তান যেন মিরপুরেই শেষমেশ ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের অপরিচিত হয়ে যাওয়া স্বাদটি পেয়ে গেছে।
মোস্তাফিজের ইনসুইঙ্গারে উপড়ে যায় রিজওয়ানের স্ট্যাম্প। এরপর তাসকিনের বাড়তি পেসে পরাস্ত হন বাবর আজম। প্লেইড অন হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। হায়দার আলিকে অফস্পিনে এলবিডব্লিউ করেন মেহেদী হাসান।
তারপর নির্ভরযোগ্য শোয়েব মালিককে দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে রান আউট করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মোস্তাফিজের বলকে থার্ড ম্যানের দিকে খেলার চেষ্টা করেছিলেন শোয়েব মালিক। কিন্তু ঠিকমতো গাইড করতে না পারায় বল ড্রপ করে চলে যায় উইকেটরক্ষক সোহানের হাতে। শোয়েব মালিক ক্রিজ ছেড়ে সামনে এসে খেলছিলেন বলে সেই মোমেন্টামে ক্রিজের কিছুটা যে সামনে চলে যাচ্ছিলেন তা হয়তো চোখ এড়ায়নি সোহানের। তাই বল পেয়েই গ্লাভস জোড়া ছুড়ে ফেলেন উইকেট ভাঙার প্রস্তুতিতে। আর সেটাই করলেন চোখের পলকে। শোয়েব মালিকের গতিকে মন্থর হিসেবে প্রমাণ করে পাঠালেন সাজঘরে।
প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের রান ৯.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান। জয়ের জন্য তাদের দরকার ৬৪ বলে ৯০ রান। আর বাংলাদেশের দরকার এই ছন্দকে কাজে লাগানো।
Leave a reply