স্টাফ রিপোর্টার:
নেত্রকোণার একটি বাসা থেকে বাবা–ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। নিহত কাইয়ুম এর ছোটভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে এ মামলা করেন। পুলিশ কাইয়ুমের স্ত্রী ছালমা খাতুনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। মামলায় ছালেমা খাতুনকে সন্দেহজনক আসামি করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত করেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শ্রদ্ধানন্দ নাথ এবং টিটু রায়।
চিকিৎসক শ্রদ্ধানন্দ নাথ মুঠোফোনে জানান, এদের মৃত্যুর কারণ এখনও আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়ায় দুজনেরই ভিসারা সংগ্রহ করা হয়েছে।’
এ দিকে, শিশুটির মা ছালমা খাতুনকে (২১) থানায় রেখে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে পুলিশ হেফাজতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ছালমা খাতুনকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
নেত্রকোণার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, নিহত কাইয়ুম এর ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে এ মামলা করেন। তার স্ত্রী ছালমা খাতুনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a reply