সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে রোবটনির্ভরতা বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। আর উত্তর আমেরিকার কোম্পানিগুলো ২০২১ সালের প্রথম ৯ মাসে তাদের কারখানাগুলোয় যুক্ত করেছে রেকর্ডসংখ্যক রোবট। বিভিন্ন কারখানায় যন্ত্রাংশ সংযোজন, কাজের গতিবৃদ্ধি এবং কর্মী স্বল্পতা মেটাতেই রোবটের ওপর নির্ভর হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রসহ উত্তর আমেরিকার দেশগুলো। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সিং অটোমেশন এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ এর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৯ মাসে উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশের কলকারখানা ও অন্যান্য শিল্পমালিকেরা কারখানার কাজের জন্য ২৯ হাজার রোবটের অর্ডার দিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। আর এসব রোবটের বাজার মূল্য ১৪৮ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। এর আগে ২০১৭ সালে শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী রোবটের অর্ডার রেকর্ড ছুঁয়েছিলো। আর ২০২১ এ তা আগের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।
জানা গেছে, লকডাউন খুলতে শুরু করার পর থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোয় বেড়েছে বিনিয়োগ। এছাড়া মহামারিতে যেসব প্রতিষ্ঠান কর্মী হারিয়েছে, সেসব ভ্যাকেন্সিও এখনও পূরণ হয়নি। তাই কর্মীর ঘাটতি মেটাতে রোবটকেই বিকল্প হিসেবে দেখছে কোম্পানিগুলো।
অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সিং অটোমেশন- এর প্রেসিডেন্ট জেফ বার্নস্টেইন বলেন, কর্মী সঙ্কটের কারণেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির সাহায্য নিচ্ছে কোম্পানিগুলো। বার্নস্টেইন আরও বলেন, অটোমবিল শিল্পে রোবট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। অন্যান্য ক্ষেত্র বিশেষ করে- ধাতব ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পেও রোবটের ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
সম্প্রতি রোবটের ব্যবহার বাড়িয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান টেক্সাসভিত্তিক অ্যাথেনা ম্যানুফ্যাকচারিং। এ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জন নিউম্যান বলেন, আমরা কারখানার জন্য প্রথম রোবট কিনি ২০১৬ সালে। গত বছর আমাদের কারখানায় তিনটি রোবট ছিল আর এখন সাতটি রোবট কাজ করছে। নিউম্যান বলেন, রোবট ব্যবহারের ফলে অ্যাথেনা কাজের গতি বেড়েছে, বেড়েছে পণ্যের উৎপাদন।
নিউম্যান আরও বলেন, কারখানায় রোবট ইন্সটল করার পর থেকে ২৪ ঘণ্টা কাজ চালিয়ে যেতে পারছি আমরা। আমাদের কারখানায় মোট কর্মীর সংখ্যা ২৫০ জন হলেও কাজ চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। আর নাইট শিফটে কাজ করতেও বেশ আপত্তি কর্মীদের। তাই, রাতে কারখানা চালু রাখতে রোবটের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
Leave a reply