ফেক প্রোফাইল দিয়ে নজরদারি করছে পুলিশ, চিন্তিত ফেসবুক

|

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল তৈরি করে ব্যবহারকারীর ওপর নজরদারি করছে। যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে স্বয়ং ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে। খবর বিবিসি’র।

সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনের সুত্রে জানা যায় যে, মার্কিন পুলিশ বিভাগ অপরাধ দমনে কোনো একটি হাইপ্রোফাইল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবহারকারীদের তথ্য বিশ্লেষণে একসাথে কাজ করছে। এজন্য তারা আশ্রয় নিচ্ছে গোপন কোনো কৌশলের। এর কিছুদিন পরেই বিবিসির এক প্রতিবেদন সুত্রে জানা যায় যে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এলএপিডি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে যেন তারা ফেক আইডির মাধ্যমে নজরদারি বন্ধ করে।

এ চিঠিতে নাগরিক অধিকার আইনজীবী ও ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রয় অস্টিন বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাদের কর্মকর্তাদের ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ দিচ্ছে। আর তাদের নথিপত্রেও দেখা গেছে যে, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের নীতিমালা ইনভেস্টিগেশনের জন্য ফেইক অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিচ্ছে কর্মকর্তাদের।

চিঠিতে মি. অস্টিন আরও বলেন, এ ধরনের নীতিমালা তৈরির ক্ষমতা ও বৈধতা এলএপিডির থাকতে পারে, কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের অবশ্যই ফেসবুকের নীতিমালা মানতে হবে। তারা নিশ্চয়ই জানেন যে ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি ও ব্যবহার স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। চিঠিতে মি. অস্টিন পুলিশ সদস্যদের ফেইক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার, অন্য কারো ছদ্মবেশে অ্যাকাউন্ট খোলা এবং নজরদারির উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহের কাজ বন্ধ করার আহ্বান জানান।

এ ঘটনার পরই জানা গেছে যে, ২০১৯ সাল থেকেই এলএপিডি ভয়েজার ল্যাবস নামের একটি প্রতিষ্ঠান নির্মিত নজরদারির সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। এ সফটওয়্যারে সন্দেহভাজন ব্যক্তির নেটওয়ার্ক, ফ্রেন্ডলিস্টসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ থাকে। ভয়েজার ল্যাবসের দাবি, তাদের সফটওয়্যার ডেটা বিশ্লেষণ করে অপরাধ দমনসহ ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কিত তথ্য দিতে পারে।

আর এ সফটওয়্যার ব্যবহারের কথা স্বীকার করে এলএপিডি জানিয়েছে যে, ওই বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমেই বিভিন্ন গ্যাংয়ের তথ্য জানতে পেরেছে তারা। এছাড়াও নজরদারীর আওতায় থাকা সন্দেহভাজনদের দ্বারা সংঘটিত হতে যাওয়া সম্ভাব্য যে কোনো অপরাধমূলক তৎপরতা ঠেকাতেও এ সফটওয়্যার তাদের কাজে লেগেছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply