জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব ২০২২ যথাসময়ে হবে। তবে সব শিক্ষার্থীকে বই পেতে অপেক্ষা করতে হতে পারে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার বছরে যথাসময়ে সব শিক্ষার্থী বই না পেলে পুরো শিক্ষাবর্ষ জুড়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা গবেষকদের।
রাজধানী ও ঢাকার বাইরে ছাপাখানাগুলোতে রাত দিন ২৪ ঘণ্টা পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ পুরোদমে চলছে। নিয়ম অনুযায়ী বই ছাপার জন্য প্রেস মালিকদের তিন মাস সময় পাওয়ার কথা। বরাবরের মত এবারও এনসিটিবি তা দিতে পারেনি বলে প্রেসমালিকদের অভিযোগ।
সাড়ে ৩৫ কোটির মত পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হচ্ছে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক ও সমমানের শিক্ষার্থীদের জন্য। কোনো বছর করোনা, কোনো বছর কাগজের দরবৃদ্ধিসহ নানা কারণে বই ছাপার কাজ বিলম্ব হয়। মুদ্রণ শিল্প সমিতির অভিযোগ, এনসিটিবি কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা অনৈতিকতার কারণে মানহীন পাঠ্যপুস্তক হাতে পায় শিক্ষার্থীরা।
২০১০ সালের পর থেকে প্রায় প্রতিবছর মহাধুমধামে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করে আসছে সরকার। যথাসময়ে এবারও পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে বলে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা।
যেবছর করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে, সেখানে যথাসময়ে সকল শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তক না পেলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মত শিক্ষা গবেষক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের।
আগের বছরের সংশোধিত কারিকুলাম অনুযায়ী এবার পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হচ্ছে। এর সিংহভাগই পেয়েছেন দেশের মুদ্রণকারীরা। বই ছাপতে আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পাবেন তারা।
Leave a reply