ভিন্ন ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার ভিন্ন রূপ বাংলাদেশের

|

শাহিন আফ্রিদির 'অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসনে' মাটিয়ে লুটিয়ে আফিফ। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতার নতুন এক মাত্রা দেখালো বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে টেল এন্ডারদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় তবু পাকিস্তানকে বল প্রতি রানের বেশি টার্গেট দিতে পেরেছিল টাইগাররা। কিন্তু আজ অপেক্ষাকৃত ভালো সূচনার পরও নির্ধারিত ২০ তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৮ রান। তবে একটা দিক অপরিবর্তিতই থেকে গেছে। আর সেটা হচ্ছে টপ অর্ডারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা। এর সাথে মিলিয়ে নেয়া যেতে পারে আফিফের হাত ধরে প্রতিরোধের শুরু, ভালো সংগ্রহের আশা জাগানো এবং মাঝের ওভারগুলোয় ছন্দ হারানো। এর ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানকে আরও একবার বড় টার্গেট দিতে পারলো না মাহমুদউল্লাহর দল।

এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতোই শুরুতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আফিফের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ ও শান্তর জুটিতে কার্যকর কিছু রান আসার পর প্রথম ম্যাচের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো ব্যাটিং প্রদর্শনীর সম্ভাবনা জাগে বাংলাদেশের, জাগে আরও বড় স্কোরের আশাও।

তবে আফিফের দেখানো সফট ডিসমিসালের পথেই হাঁটেন ক্রিজে জমে যাওয়া নাজমুল শান্ত ও মেহেদী হাসান। ৩৪ বলে ৪০ রান করা নাজমুল শান্ত ফিরে যান শাদাব খানের শিকার হয়ে। আর মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। তাই ১২ ওভারে ৮০’এর ঘরে রান তুলে ফেলা বাংলাদেশ হারায় কাঙ্ক্ষিত ছন্দ। শেষ পর্যন্ত নুরুল হাসান কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা চালালেও বাউন্ডারি যেন ছিল সোনার হরিণ। তাছাড়া শেষ ৭ ওভারে ২৮ রান তোলার শম্বুক গতিতেই আসলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদি নেন ১৫ রানে ২ উইকেট।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply