বিক্রয় ডটকমে মোবাইল, বিদেশি পণ্য, পুরানো গাড়িসহ নানা সামগ্রীর ছবিসহ চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো একটি চক্র। আর এজন্য তারা ব্যবহার করতো পুলিশের পরিচয়। ডেলিভারি দেয়ার কথা বলে নেয়া হতো অগ্রিম টাকা। আর এরপরই হয়ে যেতো লাপাত্তা।
গ্রামের সাধারণ মানুষের এনআইডি দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা ওই প্রতারক চক্রটিকে অবশেষে গেফতার করেছে ঢাকার ডিবি পুলিশের সাইবার টিম।
খিলগাঁওয়ের আবু বকর সিদ্দিকী বিক্রয় ডটকম থেকে মোবাইল অর্ডার দিলে বিক্রেতা তার কাছে বিকাশে অগ্রিম টাকা চান। পরে টাকা নিয়ে মোবাইল ফোনটি বাসার ঠিকানায় ডেলিভারি দেয়া হয়েছে বলে জানায় প্রতারক। প্রমাণস্বরূপ সুন্দরবন কুরিয়ারের একটি চালানও পাঠানো হয়। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও ফোনের খোঁজ মেলে না। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় প্রতারকদের ফোন নম্বরগুলো এমনকি বিক্রয় ডটকম থেকেও লাপাত্তা হয়ে যায় তাদের তথ্যগুলো।
একই অবস্থা কুমিল্লার মেহেদী হাসান ও গাজীপুরের তারেক হোসেনের। তারা সবাই একই প্রতারকের কাছ থেকে পণ্য কিনতে গিয়ে ফাঁদে পড়েন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতারকদের একজন নিজেক পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ডও দেখাতো।
বেশ কয়েকমাস ধরে বহুজনের সাথে এসব প্রতারণার পর অবশেষে চক্রের তিন হোতা শিখন, আল-আমিন ও বিপ্লবকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
পুলিশ বলছে, এরা ভুয়া ফোন নম্বর, ই-মেইল এবং অনলাইন প্রতিষ্ঠানে ভূয়া আইডি খুলে প্রতারণা করতো। এক্ষেত্রে, বিক্রয় ডট কমের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় আছে বলেও জানায় পুলিশ। শুধু তাই নয়, সুন্দরবন কুরিয়ারের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে এরা টাকার বিনিময়ে খালি চালানপত্রের বই কিনে আনতো বলেও জানালেন ঢাকা ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এম হাফিজ আক্তার। তাই ঝুঁকি এড়াতে পণ্য হাতে পাওয়ার আগে টাকা পরিশোধ না করার পরামর্শ পুলিশের।
Leave a reply