হবিগঞ্জে এবার চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ালেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মূল্য। অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস, চোরাচালান, প্রাকৃতিক বৈরিতাসহ নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই শিল্প। সাথে রয়েছে উৎপাদন ব্যয়ের ঊর্ধগতি ও নিম্নমুখী বাজারদর। চা শিল্প রক্ষায় উৎপাদন ব্যয় কমাতে শ্রমিকদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের। সেই সাথে সর্বনিম্ন বাজারদর নির্ধারণেরও দাবি তাদের।
চলতি বছর দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ কোটি ৭৭ লাখ কেজি। এবার অক্টোবরের মধ্যেই ছাড়িয়েছে লক্ষ্যমাত্রা। উৎপাদন হয়েছে ৭ কোটি ৯৩ লাখ কেজি চা। উৎপাদন বাড়লেও চায়ের কাঙ্ক্ষিত দর নিম্নমুখী। বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে কেজিপ্রতি চায়ের গড় মূল্য ছিল ২৬৩ টাকা। পরের বছরে নেমে দাঁড়ায় ১৭৬-তে। এরপর থেকে গড় মূল্য আটকে আছে ১৮৯ টাকায়।
বাগান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি আর নিম্নদরের ফলে দিনকে দিন চা শিল্প হাটছে লোকসানের দিকে। অবস্থার উন্নয়নে ন্যুনতম মূল্য নির্ধারণ করার পরামর্শ তাদের। এছাড়া উৎপাদন ব্যয় কমালে চা লাভজনক হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শ্রমিকদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বাগানের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার এগিয়ে এলে উৎপাদন ব্যয় কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।
প্রসঙ্গত, নভেম্বর পর্যন্ত দেশে অবিক্রিত থেকে গেছে প্রায় আড়াই কোটি কেজি চা।
Leave a reply