পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে চার উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার (১৯ নভেম্বর)। ম্যাচে পাকিস্তানি বোলার সাদাব খানের ‘অশালীন আচরণের’ শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। যদিও এ নিয়ে কোনো তরফ থেকেই এখনও কোনো অভিযোগ ওঠেনি।
তবে মেহেদি হাসানের সাথে অশালীন আচরণের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা।
আফিফ হোসেন আউট হওয়ার পর ম্যাচের ১২তম ওভারের শেষ বলে স্কয়ার লেগের দিকে ফ্লিক করে মেহেদি হাসান একটি রান নিতে দৌড়ে বোলিং ক্রিজে পৌঁছানোর আগমুহূর্তে লাথি দিতে উদ্যত হন সাদাব খান। এ সময় মেহেদি হাসান কিছুটা অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে সরে যান।
ভিডিও ক্লিপটি চিরঞ্জিত অমিত নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী পোস্ট করলে তাতে অনেকেই নানান মন্তব্য করতে শুরু করেন।
চিরঞ্জিত অমিত তার ভিডিও পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একাত্তর এ দেশের বর্তমান প্রজন্মের বড় অংশ ভুলে গেলেও পাকিস্তানিরা কিন্তু ভোলেনি। বাংলাদেশের সাথে খেলা হলেই বারবার এ ধরনের আচরণ নিঃসন্দেহে এর প্রমাণ। এরপরও আপনারা ‘খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না’ থিওরী ইউজ করে যান…What a disrespectful act!’
কমেন্টে অনেকেই মেহেদি হাসানের নীরব থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, এক সাথে বিপিএল খেলার দরুন তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার কথা।
জায়ান নাঈম নামের একজন লিখেছেন, ‘ভাই না জেনে আউল ফাউল কথা বইলেন না..সাদাব আর মেহেদি..একসাথে বিপিএল খেলেছিল, ওই খান থিকা ভালো ফ্রেন্ডশিপ..’।
সাদাবের হঠাৎ করে লাথি মারতে যাওয়া কি ধরনের বন্ধুত্ব বলেও প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। অনেকে আবার সাদাব খানকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে।
Leave a reply