‘পিরোজপুরে রাজনৈতিক সহিংসতায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ছিল না’

|

নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় এ যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পিরোজপুরে পৌর যুবলীগ নেতা ফয়সাল মাহবুব শুভ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলাটিতে নতুন করে ছড়িয়েছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। নেতাকর্মীরা বলছেন, দক্ষিণের এ জেলায় রাজনৈতিক সহিংসতায় পিস্তলের ব্যবহার খুব একটা ছিল না। এর ফলে এবারের নির্বাচন ঘিরে যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করার ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কারণ দেখছেন সাধারণ মানুষ ও সচেতন নাগরিকরা।

পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভ হত্যার প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত পিরোজপুর শহর। পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে ঘিরে এই হত্যাকাণ্ডে উদ্বিগ্ন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তারা বলছেন, কোনো নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা এই অঞ্চলে এটিই প্রথম। দক্ষিণের এ জেলায় রাজনৈতিক সহিংসতায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার খুব একটা ছিল না বলে জানান তারা। সাধারণ নাগরিকদের উদ্বেগ, আগে যেসব প্রবণতা লক্ষ করা যায়নি, তা এখন অহরহ হয়ে উঠছে। এসব এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।

উৎকণ্ঠায় অন্য রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যবসায়ী নেতারাও। নির্বাচনী সহিংসতা ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে।

যুবলীগ নেতা শুভ হত্যা মামলায় প্রধান সন্দেহভাজন বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন মাতুব্বরসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে রাজনৈতিক সহিংসতা ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান।

ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে গত ৭ নভেম্বর আওয়ামী লীগ ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ নভেম্বর মারা যান তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply