ফেসবুক কর্তৃক গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তার অপব্যবহারের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার কৌশল নির্ধারণের কাজে বিনা অনুমতিতে গ্রাহকের তথ্য লাগানোর ঘটনায় ‘ভুল স্বীকার’ মার্ক জাকারবার্গ বলেন, গ্রাহকদের তথ্যের সুরক্ষা দিতে না পারলে তাদের সেবা দেওয়ার কোনও অধিকার আমাদের নেই। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এখানকার সবকিছুর জন্য দিনশেষে আমিই দায়বদ্ধ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গত বুধবার জাকারবার্গ বলেন, ওই ঘটনার জন্য তিনি ‘আসলেই দুঃখিত’। এ সময় তিনি ‘দুর্বৃত্ত অ্যাপসগুলোর’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
কিন্তু ফেসবুকের প্রধান নির্বাহীর এমন ‘ভুল স্বীকার’কে ভুল হিসেবে দেখছেন না অনেকেই। যদি এটা মেনেও নেয়া হয় যে, গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি ফেসবুকের অনুমতি ছাড়াই ঘটেছে। কিন্তু এখন থেকে দুই বছর আগে অভিযুক্ত সংস্থা ক্যামব্রিজ অ্যানালিটকা কর্তৃক তথ্য চুরির বিষয়টি জেনেছিলেন জাকার্বাগ তখন কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না? কিম্বা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেন না? ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে কেন নিজে থেকে জানালেন না যে, একটি পক্ষ ‘গবেষণা’র নামে তার প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভেঙে তথ্য নিয়ে ব্যবহার করেছে?
এবিসি নিউজে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমন প্রশ্নই তুলেছেন লেখক উরি গাল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘Cambridge Analytica scandal is not a ‘breach’. It is Facebook’s business model in action’ শিরোনামের নিবন্ধে উরি গাল বলতে চেয়েছেন, এই কেলেঙ্কারিকে জাকার্বাগ ‘ভুল’ বা ‘আইন ভঙ্গের ঘটনা’ বলে অভিহিত করে রক্ষা পেতে চাইলেও বাস্তবে এটিই হচ্ছে ফেসবুকের ব্যবসা। এই মডেলেই প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্য করে থাকে। ব্যবহারকারীদের তথ্য কোনো না কোনোভাবে বিক্রি করেই আয় করে ফেসবুক। কারণ এর আগে ২০১৭ এবং ২০১৫ সালেও একই রকম অভিযোগ উঠেছিল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রেড ক্রুজ ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে ফেসবুকের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছিল ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা।
Leave a reply