ক্যান্সার রোগীর ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে মাদক হিসেবে

|

নার্কো-ড্রাগস অক্সি-মরফোন। অস্ত্রোপচারের আগে-পরে রোগীর ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয় মরফোন জাতীয় ওষুধ। সরকারের কাছে ওষুধটির কাঁচামাল ব্যবহারেরও হিসাব দিতে হয় কোম্পানিকে। শুধু তাই-ই নয়, এই ওষুধ বিক্রি করতেও লাগে আলাদা লাইসেন্স। ওষুধটির কাঁচামাল আমদানি থেকে শুরু করে উৎপাদন, কেনা-বেচায় আছে কঠোর বিধিনিষেধ। যেকোনো ফার্মেসিতে বিক্রির সুযোগ নেই। এগুলো তদারকির দায়িত্বে ঔষধ প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সব উপেক্ষা করে এখন খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ওষুধটি। কারণ, অক্সি-মরফোন এখন ব্যবহার হচ্ছে মাদক হিসেবে।

এনিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে বিশ হাজার অক্সি-মরফোন ট্যাবলেটসহ সংঘবদ্ধ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিশটি ট্যাবলেটের দাম চারশো টাকা হলেও দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করছিলো তারা।

বাংলাদেশে ওষুধটি, উৎপাদনের অনুমতি রয়েছে কেবল একটি মাত্র ফার্মাসিউটিক্যালসের। সারাদেশের ১৫ জেলায় ১২০টি দোকানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি হয়না ওষুধটি। এরমধ্যে বরিশাল জেলাতেই আছে ৫০টি দোকান। তদন্তে মিলেছে বরিশালের এসব ফার্মেসি থেকেই খোলাবাজারে আসছে অক্সি-মরফোন।

ডিবির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ জানান, এই ড্রাগটি ব্যবহারের ফলে আনন্দ অনুভূত হয়, ব্যথা অনুভব করা যায় না। এটি বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশি জনপ্রিয়। আমরা ইতোমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পেয়েছি।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এম হাফিজ আক্তার বলেন, এই ওষুধটি যেসব ক্যান্সার রোগী শেষ ধাপে থাকে তাদের দেয়া হয়। যেন তারা ব্যথা খেকে সাময়িক মুক্তি পায়। এ ওষুধটি বরিশালে কেন এতো বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে তা ঔষধ প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরই বলতে পারবে।

এই ওষুধ মাদক হিসেবে ব্যবহারের খবর পেয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ঔষধ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা। এনিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরও সতর্ক হবার পরামর্শ পুলিশ ও বিশেষজ্ঞদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply