নিজেকে ‘এলিয়েন’ দেখাতে শরীরের সাথে কী করেননি এই ভদ্রলোক!

|

লজ্জায় নয়, তার নাক কাটা গিয়ে শুধুই শখে! যে শখ পূরণে আইনী বাধা ছিল তার নিজ দেশ ফ্রান্সে। তাই পার্শ্ববর্তী স্পেনে গিয়ে নাক কাটিয়ে এসেছিলেন ফরাসি যুবক অ্যান্থনি লোফ্রেডো।

অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতে নয়, নিজের এই যাত্রাই অব্যহত রাখতে এরপর অ্যান্থনি কাটলেন নিজের কান দুটো! তারপর কাটলেন উপরের ঠোঁট, মাঝখান থেকে চিরলেন জিভ! সারা শরীরে ট্যাটু করলেন, বাদ গেলো না চোখের মনি!

কীসের আশায় এতটা উতলা অ্যান্থনি? কেন নিজ শরীরের সাথে এই যথেচ্ছ আচরণ? উত্তরটাও দিয়েছেন তিনিই। জানান, ছোটবেলা থেকেই ভয়ঙ্কর সব কমিক চরিত্রকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে ইচ্ছা হতো তার। তিনি চাইতেন তাকেও তাদের মতোই লাগুক।

এরই মধ্যে পেয়ে গেলেন নিজের মতো একটা চরিত্র- ব্ল্যাক এলিয়েন! তারপর তাকে পেয়ে বসলো শরীরকেও সেরকম বানানোর ঝোঁক! সেই থেকে ২৪ বছর বয়সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে শরীরকে খেয়াল খুশি মতো সাজানোকেই জীবনের ব্রত করলেন তিনি। পাড়ি জমাতে চাইলেন অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে।

সম্প্রতি ডেইলি সান-এর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ব্ল্যাক এলিয়েনের সাথে নিজের মিল আরও বাড়াতে দু হাতের দুটো করে আঙুল ফেলে দেয়ার ইচ্ছা ছিল তার, যেটির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই এক হাতে অস্ত্রোপচার সেরেও ফেলেছেন তিনি।

নিজেকে আয়নায় দেখতে ভয় পান না তিনি? জানালেন, নিজেকে যে ভয়ঙ্কর দেখানোর বিষয়টাই বরং বেশি উপভোগ করেন তিনি। এমনকি বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী পেতেও বেগ পেতে হয় না তাকে। তার এখনকার রূপেই তার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন তরুণীরা।

প্রশ্ন হতেই পারে, আর কতদূর যাবেন ৩২ বছর বয়সী অ্যান্থনি লোফ্রেডো? শরীরের আর কতটা বদল দেখে ক্ষান্ত দেবেন তিনি? জবাবে বললেন গা শিউরে ওঠার মতো তথ্য। একটা সময় নিজের চামড়াই তিনি তুলে ফেলতে চান, আর সেটি প্রতিস্থাপন করতে চান ধাতব মোড়ক দিয়ে!

স্বপ্নের পিছে অ্যান্থনির এই ছুটে চলা তাকে অধিকাংশের চোখে বানিয়েছে ‘কদাকার’। ইনস্টাগ্রামে নিজের পেজ ‘দ্য ব্ল্যাক এলিয়েন প্রজেক্ট’-এ এইসব নিয়ে কম কটূকথা শুনতে হয় না তাকে।

তবে সেখানে তার পক্ষে যারা ঢাল হয়ে দাঁড়ান, অ্যান্থনির চেহারা তাদের ভালো লাগুক বা না লাগুক, তারা ঈর্ষা করেন অ্যান্থনিকে। কেন? কারণ যত যা-ই হোক, নিজের মতো করে বাঁচার চেষ্টায় অন্তত সফল তো হচ্ছেন তিনি!

দ্য মিরর-এর প্রতিবেদন অবলম্বনে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply