মীর মুশফিক আহসান:
ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি নিয়ে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিলো ইসরায়েল। পরমাণু আলোচনা ইস্যুতে IAEA প্রধান যখন তেহরান সফর করছেন সেসময়ই এলো এ হুমকি। ইরানের সাথে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে নেয়া হবে না- এমনটাও জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
বহুল প্রতীক্ষিত পরমাণু আলোচনার জন্য ইরানে অবস্থান করছেন IAEA প্রধান রাফায়েল গ্রসি। তেহরানের সাথে সমঝোতার জন্য যখন তোড়জোড় চলছে দু’পক্ষেই, তখন ভিন্ন চিত্র তেল আবিবে।
ইসরায়েলের স্পষ্ট বার্তা, জাতিসংঘের উদ্যোগে ইরানের সাথে হওয়া কোনো ধরনের চুক্তি মেনে নেয়া হবে না। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি নিয়ে ইরানের মুখোমুখি হওয়ার হুমকিও দেয়া হয়। এর আগে ২০১৫ সালে হওয়া ইরান ও ছয় পরাশক্তির চুক্তির কঠোর সমালোচনাও করে তেল আবিব।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, পরমাণু শক্তির ছায়ায় ইরান তার মিত্রদের নিয়ে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়। কিন্তু আমরা তা হতে দেবো না। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে দেশটির মুখোমুখি হবো। দিনকে দিন ইরান শক্তিশালী হয়ে উঠছে এটা সবাই দেখছে। তাই আমরা দ্বিতীয়বার কোনো পরমাণু চুক্তি হতে দেবো না।
এরইমধ্যে ইরান বিরোধী অভিযানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা দফতর। অভিযোগ, ইসরায়েলে হামলার জন্য নতুন সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে ইরান।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজ বলেন, ইরান তার দক্ষিণাঞ্চলের দুটি দ্বীপ চাবাহার এবং কেশম এ ড্রোনের জন্য বিশেষ ঘাঁটি তৈরি করেছে। যেখানে শহিদ ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসরায়েলের বিমান বাহিনী প্রধান আমিকাম নরকিন বলন, আমরা নতুন করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছি। যেসব দেশ ইরান বিরোধী অবস্থান নিয়েছে তাদের জন্য এটা বড় সুযোগ। আমরা একসাথে হয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি।
ইউএইচ/
Leave a reply