ছেলের মোবাইল ফোনে ‘অশ্লীল’ চ্যাট দেখে ছেলের বন্ধুকে শাসাতে তার বাড়ি গিয়েছিলেন মা। ফিরে দেখলেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে নিজের ছেলে। ঘটনা ভারতের হুগলির চুঁচুড়ায়। পলাতক কিশোর স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। খবর হিন্দস্তান টাইমসের।
চুঁচুড়া শহরের আমড়াতলার বাসিন্দা ওই কিশোর। কিশোরের মা জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ছেলে তখন বাড়ি ছিল না। ছেলের মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে তিনি দেখেন এক বন্ধুকে বেশ কিছু প্রাপ্তবয়স্ক ম্যাসেজ পাঠিয়েছে সে। যে ছেলে সারাদিন বই নিয়ে পড়ে থাকে সে এমন কাজ করতে পারে বলে প্রথমটায় বিশ্বাস করতে চাননি তিনি। তাই ছেলে সেজে সেই বন্ধুকে ম্যাসেজ পাঠান। জবাব দেয় বন্ধু। এরপর ছেলের সেই বন্ধুকে ফোন করে বকাঝকা করেন তিনি। এর মধ্যে ছেলে বাড়ি ফিরলে তাকেও বকাবকি করেন। জানান, বিকেলে বাবা বাড়ি ফিরলে বন্ধুর মা-বাবাকে জানাতে তাদের বাড়ি যাবেন ২ জনে।
আরও পড়ুন: ত্রিভুজ প্রেম, তরুণীকে পেতে বন্ধুকে খুন!
পরবর্তীতে ছেলেকে বাড়িতে রেখে কাপাসডাঙায় বন্ধুর বাড়ি যান দম্পতি। যাওয়ার আগে ছেলেকে জানিয়ে যান স্কুলের শিক্ষকদেরও ঘটনার কথা জানাবেন তিনি। রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফিরে তারা দেখেন দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। ভেতরে ডাকাডাকি করেও কেউ সাড়া দেয়নি। রাত ১০টার দিকে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকেও ছেলের খোঁজ পাননি। এরপর এলাকায় ছেলের খোঁজে বেরিয়ে তারা জানতে পারেন ৮টার দিকে স্কুলের কাঁধে চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে গিয়েছে ওই কিশোর। বাড়ি ফিরে দেখেন ছেলের জমানো ১২০০ টাকা নির্দিষ্ট জায়গায় নেই। এরপর ছেলের খোঁজে চুঁচুড়া থানা নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই বাবা-মা। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে কিশোরের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ম্যাসেজ ডিলিট করার সময়সীমা বাড়াতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বয়ঃসন্ধিকালে যৌনতার প্রতি কৌতূহল বাড়ে কিশোর-কিশোরীদের। সমাজে প্রকাশ্যে সেসব কৌতূহল নিবৃত্ত করার সুযোগ না থাকায় বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা করে তারা। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রবণতা। কোনো কিশোর ক্লাসে প্রথম হয় বলে তার যৌনতা নিয়ে স্বাভাবিক কৌতূহল জন্মাবে না এমনটা ভাবা ঠিক নয়। কিশোরের ফোনে তার মা যদি আপত্তিকর কিছু দেখেও থাকেন তাহলে তাকে গোটা বিষয়টি খোলাখুলি বোঝানো উচিত ছিল। তা না করে পাঁচজনকে বলে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যাতে সম্মানহানির আশঙ্কায় ঘর ছেড়েছে কিশোর। অনেক ক্ষেত্রে পরিণতি এর থেকেও মারাত্মক হয়।
Leave a reply