ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরলেও বাড়েনি ব্যাংক ঋণ আদায়। উল্টো বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। ব্যাংকারদের দাবি, অনেক উদ্যোক্তা ঘুরে দাঁড়ালেও ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধে গড়িমসি করছেন।
করোনা সংকট মোকাবেলায় প্রণোদনা প্যাকেজের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধেও ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছর কিস্তি আদায় পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। আর এবছর ২৫ শতাংশ দিলেই গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। এরপরও খেলাপি ঋণ বেড়ে আবার এক লাখ কোটি টাকার ওপরে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাড়িয়েছে এক লাখ ১ হাজার একশ ১৫ কোটিতে। যা বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক। ১২ শতাংশ। ব্যাংকাররা বলছেন, বাড়তি সুবিধার আশায় অনেকেই ব্যাংকের টাকা পরিশোধে গড়িমসি করছে। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকারদেরও গাফিলতি দেখছেন তারা।
পড়ুন : বিদেশি বিনিয়োগ ধরে রাখতে পারছে না শেয়ারবাজারের
মোট খেলাপি ঋণের প্রায় অর্ধেকই রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ৬ ব্যাংকের। তাদের বিতরণ ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে খেলাপি ৪৪ হাজার কোটি টাকার ওপরে। বেসরকারি ব্যাংকের ৫০ হাজার ৭১৫ কোটি এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৭শ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সুবিধা উঠে গেলে খেলাপির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন বিআইবিএম সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী ও ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ঋণ বিতরণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খেলাপির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রাহকরা ঋণের টাকা পরিশোধে আরও আন্তরিক হবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
পড়ুন : ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে কৃষিতে
খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকেও নিয়মিত তদারিক করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Leave a reply