Site icon Jamuna Television

‘লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া’

ছবি: সংগৃহীত

জটিল রোগ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। যার চিকিৎসা নেই ভারতীয় উপমহাদেশের কোনো দেশেই।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারিরীক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে গুলশানে তার বাসভবন ফিরোজা’য় আজ রোববার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রিফ করেন তার ব্যক্তিগত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। সেখানে এ কথা বলেন বোর্ডের প্রধান প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিকী।

ব্রিফিংয়ে মেডিকেল বোর্ড জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য না নেয়ায় মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছে। বর্তমান অবস্থায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি দেশে নেই। এখন খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ থাকলেও, যেকোনো সময় তা হবার ঝুঁকি রয়েছে। আর তাতে রয়েছে মৃত্যুশঙ্কা। এখনো সময় আছে, পরে বিদেশে নেয়াটাও কঠিন ও অসম্ভব হতে পারে বলেও জানায় বোর্ড।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে না পাঠালে দেশে শান্তি থাকবে না: ফখরুল

দুর্বল ও ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ায় গত ১৩ নভেম্বর বিএনপি খালেদা জিয়াকে তৃতীয় দফায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। লিভার সিরোসিসের কারনে ১৩ ও ১৭ নভেম্বর হিমোগ্লোবিন কমে যায় খালেদা জিয়ার। ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। ২৪ নভেম্বর নেয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। এন্ডোস্কপির পর সেখানে করা হয় কোলনস্কপি। কোলনে রক্তজমাট বেঁধে যাওয়ায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হয় জীবনরক্ষাকারী ঔষুধ ।

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য চিকিৎসা এখন টিপস প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে তার জীবন রক্ষায় লিভারে পরিপাকীয় চাপ কমাতে বাইপাস প্রক্রিয়া সঞ্চালন নালী তৈরি করতে হবে। দ্রুত তা করা না গেলে লিভারে রক্ষক্ষরণ ঝুঁকি সপ্তাহে ৫০ ভাগ বাড়বে। কেবল যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট এবং জার্মানীতেই রয়েছে এই চিকিৎসা প্রযুক্তি।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সরকারের কাস্টডিতে নেই: আইনমন্ত্রী

তিনি আরও বলেন, দেশে উপমহাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারপরও বর্তমান অবস্থায় অসহায় বোধ করছেন চিকিৎসকরা। ঢাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের সেট আপ নিয়ে আসা সম্ভব নয় বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Exit mobile version