চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষ। বাংলাদেশের দেয়া ২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিকের ১০৯ রানের উদ্বোধনী জুটি জয়ের অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছে।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দারুণ সূচনা করে দুই পাকিস্তান ওপেনার। যদিও প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৩০ রানের জবাবে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ১৪৬ রান তুলে ফেললেও অলআউট হয় ২৮৭ রানে। ফলে ৪৪ রানের লিড নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১৫৭ রানে অলআউট হওয়ায় ও পাকিস্তানের দুর্দান্ত শুরুতে পরাজয়ের শঙ্কায় মুমিনুল হকরা।
চতুর্থ দিনের উইকেট কাজে লাগিয়েও দলকে কোনো সাফল্য এনে দিতে পারেননি স্পিনার তাইজুল ও মিরাজ। অন্যদিকে, দারুণ পেসে মাঝেমধ্যে ব্যাটারদের ঝামেলায় ফেলা ছাড়া উইকেট লাভে সমর্থ হননি এবাদত হোসেনও। আরেক পেসার আবু জায়েদ রাহির ভূমিকা সম্পর্কে অধিনায়ক ও পেসার নিজেও কী ধারণা পোষণ করছেন, সেটিও স্পষ্ট নয়। নতুন বলে সুইং করানো যার প্রধান দক্ষতা, তাকে ব্যাটিং উপযোগী উইকেটে চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে নিয়ে আসা হলে মাত্র ২ ওভারে ১৩ রান হজম করাটা ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মোটেও অস্বাভাবিক লাগার কথা নয়।
Leave a reply