করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এর পূর্ববর্তী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও ৬ গুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাদের ধারণা, শুধু অ্যান্টিবডি থেরাপির মাধ্যমে করোনার নতুন এ ভ্যারিয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নাও হতে পারে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ভারতে ডেল্টার পর ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট আবির্ভূত হলে করোনায় প্রাণহানীর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। কিন্তু, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যৌথভাবে ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাসের চেয়েও দ্রুত সংক্রামক। দেখা যাচ্ছে যে, প্রচলিত করোনা প্রতিরোধক টিকাগুলো কোনো বাধা-ই তৈরি করতে পারছে না ওমিক্রনের সামনে। জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি ইনস্টিটিউটের (আইজিআইবি) গবেষক মার্সি রোফিনার বলেন, আবিষ্কারের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওমিক্রন ৫৩বার সফলভাবে মিউটেশন সম্পন্ন করেছে।
এদিকে ভারতের অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট ফর মেডিক্যাল সায়েন্স (এআইআইএমএস) এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনেই ৩০টির বেশি মিউটেশনের তথ্য পাওয়া গেছে। আর স্পাইক প্রোটিনের জন্য এর সংক্রমণের গতিও অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে বেশি।
ওমিক্রনের ওপর বাজারে প্রচলিত করোনার টিকাগুলোর কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মি. গুলেরিয়া। তার মতে, ওমিক্রনের শক্তিশালী স্পাইক প্রোটিন প্রচলিত টিকাগুলোর কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে বলেও আশঙ্কা তার। এজন্য বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে ভারতে ব্যবহৃত টিকাগুলোর কার্যকারিতা মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
Leave a reply