এক শিক্ষার্থী বলেছে আমি নাকি বাসে চড়া জানি না, কথাটা ঠিক না: প্রধানমন্ত্রী

|

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সড়কে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি দেখলাম এক শিক্ষার্থী বলেছে আমি শুধু গাড়িতেই চড়ি, কাজেই আমি বাসে চড়া জানি না। কথাটা ঠিক না। আমাদের জীবনে আমরা যেমন গাড়িতেও চড়েছি, বাসেও চড়েছি, শুধু বাসে কেনো, আমি যা যা চড়েছি তাতো বোধোহয় এই ছাত্ররা চড়ে নাই।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) শিশু অ্যাকাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন ও জয়িতা টাওয়ারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় নিজ জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি রিকসায় চড়েছি, ভ্যানে চড়েছি, মাছের ট্রলারে সাগর পাড়ি দিয়েছি, আমি সাম্পানে সাগর পাড়ি দিয়েছি। আমি মাইলের পর মাইল কাদামাটি ভেঙে হেঁটেছি, আমি ধানের আল বেয়ে হেঁটেছি। আমি বাংলাদেশটাকে চেনার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করবার জন্য, বাংলাদেশের এমন কোনো অঞ্চল নাই আমি না ঘুরেছি।

শৈশব ও রাজনৈতিক জীবনের বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাসে তো আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, ধানমন্ডিতে যখন বাস শুরু হলো, আমরা বাসে করেই যেতাম। ধানমন্ডি থেকে আজিমপুর স্কুল সবাই আমরা বাসে করেই যেতাম। আমি ৮১ সালে বাংলাদেশে এসে যখন সমগ্র বাংলাদেশ সফর করি তখন আমরা বাস ভাড়া করে নিয়ে যেতাম, মিনি বাসে যেতাম। বাংলাদেশে আমার মনে হয় এমন কোনো কিছু নেই যেখানে আমি চড়ি নাই। সেভাবে চড়ে চড়েই, কাজ করে করেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়ে আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হচ্ছি। আমি যদি বাংলাদেশকে না চিনতাম তহালে এতদ্রুত বাংলাদেশ এত উন্নতি করতে পারতো না।


তরুণদের বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১০-১৪ বছর আগের বাংলাদেশ এখনকার বাংলাদেশে অনেক তফাৎ। এখনকার বাংলাদেশে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেটা দেখছে সেটা কিন্তু চিরদিন ছিল না। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে তাদের।

শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ারও আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করা এটা ছাত্রদের কাজ না। এটা কেউ করবেন না। দয়া করে যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান, লেখাপড়া করেন। আর যারা দোষী অবশ্যই তাদের শস্তি দেয়া হচ্ছে। তাদের খুঁজে বের করা হয়েছে, সেটা আমরা করবো। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কাজ করছে, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুঁজে বের করা তাদের কাছে কোনো বিষয় না। যে গাড়িতে আগুন দেয়া হবে সেখানে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তার জন্যও কঠোর শাস্তি দেয়া হবে, এ কথাটাও মাথায় রাখতে হবে।

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply