সুখে- দুঃখে বিজিবি সদস্যদের পাশে আছি বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় সহিংসতায় নিহত বিজিবি সদস্য নায়েক মো. রুবেল মন্ডলের গ্রামের বাড়িতে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজিবি মহাপরিচালক গাইবান্ধায় নিহত বিজিবি সদস্য নায়েক রুবেল মন্ডলের বাড়িতে যেয়ে তার কবর জিয়ারত করেন এবং শোকসন্তপ্ত বৃদ্ধ বাবা- মা, স্ত্রী- সন্তানদের সান্ত্বনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি শুধু বাহিনী প্রধানই নই, নায়েক রুবেল মন্ডলের মতো আমিও একজন গর্বিত বিজিবি সদস্য।
নায়েক রুবেলের মৃত্যুতে তার পরিবার যেমন শোকাহত তেমনি পুরো বিজিবি পরিবারও শোকাহত ও মর্মাহত। ইউনিফর্মে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু যেকোনো সৈনিকের জন্য গর্বের বিষয়। এমন সৌভাগ্য সবার হয় না। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার সৈনিক নিহত হয়েছে, তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার কর্তব্য।
সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বিজিবি রুবেলের পরিবারের পাশে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বিজিবি’র চাকরি করা মানে দেশের সেবা করা। ধর্মীয় গ্রন্থ ছুঁয়ে দেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের শপথ নিয়েই আমরা বাহিনীতে যোগ দিয়েছি। নায়েক রুবেল তার জীবন দিয়ে তার অনবদ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। দেশের জন্য নায়েক রুবেলের এই আত্মত্যাগ বিজিবি’র জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
নায়েক রুবেলের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বিজিবি সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব আরও দৃঢ়তার সাথে পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি সদস্য নিহত
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজিবি’র নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ নীলফামারী জেলার জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলাধীন ইউনিয়নসমুহের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি সদস্যরা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গ্রাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি সদস্য মো. রুবেল মন্ডল ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।
Leave a reply